শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

মাদকের সরবরাহ কমছে না কেন

এ কে এম শহীদুল হক

মাদকের সরবরাহ কমছে না কেন

কয়েকদিন আগে একটি ইংরেজি পত্রিকার এক সাংবাদিক আমাকে টেলিফোন করেন। তিনি তাঁর পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘সরকার জিরো টলারেন্স নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। শত শত মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে Encounter-এ মারাও গেল। কিন্তু মাদকের সরবরাহ তো কমছে না। আপনি দীর্ঘদিন পুলিশে চাকরি করেছেন। আপনার অভিজ্ঞতা থেকে বলুন তো কেন মাদকের সরবরাহ কমছে না?’ আমি তাঁকে বললাম, এটা বুঝতে পুলিশের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। অর্থনীতি সম্পর্কে যাদের প্রাথমিক জ্ঞান আছে তারাই এর কারণ ভালোভাবে বলতে পারবে। এটা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যকার সম্পর্ক। থিওরিটি হলো, চাহিদা থাকলে সরবরাহ থাকবে। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে সরবরাহও বৃদ্ধি পাবে। Demand and Supply-এর তত্ত্ব অনুযায়ী কোনো পণ্যের চাহিদা থাকলে সরবরাহ আসবেই। সরবরাহ কম কিন্তু চাহিদা বেশি হলে পণ্যের দাম অত্যধিক হবে এবং যত প্রতিবন্ধকতাই হোক সরবরাহকারীরা অধিক মুনাফার লোভে যে কোনো ঝুঁকি নিয়ে হলেও ভোক্তার কাছে সরবরাহ পেঁঁঁৗঁছে দেবে।

অর্থনীতির এ নীতিই বলে দেয় ব্যাপক অভিযান সত্ত্বেও মাদকের সরবরাহ কেন বন্ধ হয়নি। সরবরাহ যে হ্রাস পায়নি তা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে অনেক মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে তো অবশ্যই ভীতি সঞ্চার হয়েছে। এতে সরবরাহ কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়নি। দেশে মাদকের চাহিদা আছে বিধায় নতুন সরবরাহকারী সৃষ্টি হয়েছে। অধিক মুনাফার লোভে নতুন কৌশলে, নতুন রুটে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও একশ্রেণির লোক মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মাদক বন্ধ হচ্ছে না। মাদকসেবীরাই মাদকের চাহিদা অব্যাহত রেখেছে। দেশে লাখ লাখ মাদকসেবী আছে। কেউ বলে ৬০ লাখ, কেউ বলে ৫০ লাখ। সঠিক বা সঠিকের কাছাকাছি কোনো সংখ্যা কেউ বলতে পারে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০-এর ৪৮(১) ধারায় উল্লেখ ছিল, ‘মাদকাসক্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনে মহাপরিচালক তাহাদের জেলাওয়ারী চালিকা প্রস্তুত করিবেন।’ ৪৮ (৩)-এ বলা ছিল, ‘এই ধারার অধীন তালিকাভুক্ত মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য বোর্ড যতদূর সম্ভব যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’

মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৬১ ধারায়ও উল্লেখ আছে, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাদকাসক্তদের তালিকা প্রস্তুত করিতে পারিবেন।’ ১৯৯০ সালের আইনের ৪ ধারায় জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিষ্ঠার বিধান ছিল। এ বোর্ডে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১০ জনের বেশি মন্ত্রী ও সচিব সদস্য ছিলেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ কমিটি ছিল। ২০১৮ সালের আইনে ৬৩ ধারায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বোর্ড বা কমিটিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কার্যক্রম গ্রহণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাস্তবতা কী? মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ১৯৯০ সালে আইন হওয়ার পর ৩০ বছরেও মাদকাসক্তদের তালিকা প্রস্তুত করেনি এবং তালিকা মোতাবেক চিকিৎসার উদ্যোগও নেয়নি। জাতীয় পর্যায়ে বোর্ড বা কমিটি মাদক নিয়ন্ত্রণ ও মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় মনে হয়ছে, জাতীয় পর্যায়ের এ ধরনের বোর্ড বা কমিটি মূলত অলঙ্কারসর্বস্ব। জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক, উপজেলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। স্থানীয় এ কমিটিগুলোর নিয়মিত সভা হয়। কিন্তু তা শুধু আনুষ্ঠানিকতা ও গতানুগতিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কমিটির লোকজন কিছু কথাবার্তা বলে ও চা-বিস্কুট খেয়ে দায়িত্ব শেষ করেন। কার্যকর উদ্যোগ এমনকি সচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রমও এসব কমিটি গ্রহণ করে না। জেলা প্রশাসক তো বহু কমিটির সভাপতি। একজন ব্যক্তির দ্বারা এত কমিটির কার্যক্রম দেখাশোনা করা কতটুকু বাস্তবসম্মত, তা কেউ ভেবে দেখে না। তাই সমস্যা সমাধানমূলক ফল তেমন একটা পাওয়া না।

মাদকাসক্তি বা মাদকের নেশা একটি কঠিন মনস্তাত্ত্বিক রোগ। কেউ একবার মাদকাসক্ত হলে সে পুরোপুরি মাদক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। মাদক গ্রহণের তাড়না যখন তার মধ্যে আসে তখন মাদক নেওয়ার জন্য সে পাগল হয়ে যায়। যে কোনো উপায়ে সে মাদক সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। মাদকাসক্তকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, উপদেশ দিয়ে, শারীরিক বা মানসিক চাপ দিয়ে মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। জেলহাজতেও মাদকসেবীরা মাদক পায়। হঠাৎ মাদক বন্ধ হলে মাদকাসক্তের শারীরিক নানারকম উপসর্গ দেখা দেয়। মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই জেল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি না নিয়ে জেলের মধ্যে মাদক সরবরাহের ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ আছে। মাদকাসক্তদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা সম্ভব। সুস্থ হওয়ার পর তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। নিরাময় হওয়ার পর আবার মাদক নেওয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে থাকে। তাই তাদের ফলোআপের প্রয়োজনীয়তাও আছে।

আমি পুলিশের চাকরি করাকালে নির্দিষ্ট সমস্যার কারণ নির্ণয়পূর্বক সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস ছিল মাদকাসক্তদের চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা এবং নতুন করে মাদকাসক্ত হওয়া রোধ করা সম্ভব হলে মাদকের বিস্তার ও সরবরাহ কমে যাবে। সরকারের কোনো সংস্থাই এ কাজটি করছে না। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী মূলত গ্রেফতার অভিযান, মাদক উদ্ধার ও মামলা রুজুর মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে তাদের কর্মতৎপরতা সীমাবদ্ধ রাখে। তারা মনে করে, এ কাজ ছাড়া তাদের অন্য কোনো দায়িত্ব নেই। কিন্তু প্রত্যেক নাগরিকের দেশ ও সমাজের প্রতি কিছু নাগরিক ও সামাজিক দায়িত্ব অবশ্যই আছে। সেই সামাজিক দায়িত্ব সমাজের কল্যাণে যদি সবাই পালন করি তবে সমাজে অনেক পজিটিভ পরিবর্তন আনা সম্ভব। সমাজের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি চিন্তা করলাম পুলিশ মাদকাসক্তদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের চিকিৎসার উদ্যোগ নিতে পারে। যেহেতু পুলিশের মাঠ পর্যায়ে সংগঠন আছে এবং সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার নেতার সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ আছে, সেহেতু পুলিশ আন্তরিক হলে এ কাজটি করতে পারে এবং এটা পুলিশের পক্ষে করা সম্ভব।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক সভায় আমি বিষয়টি উত্থাপন করলাম। ওই সভায় সব জেলার পুলিশ সুপার, সব ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও সব পুলিশ ইউনিটের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। মাদকাসক্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের চিকিৎসার সামাজিক দায়িত্ব নেওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে মতামত জানতে চেয়েছিলাম। সবাই মতামত দিলেন। কেউ কেউ বললেন এটা খুব ভালো উদ্যোগ হবে। চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন হবে। আমি প্রস্তাব দিলাম পুলিশের এক দিনের বেতন দিয়ে সব ইউনিটে একটি প্রাথমিক ফান্ড তৈরি করা যায়। সবাই সম্মতি দিলেন। অনেকে বললেন এ ফান্ডে অন্য সোর্স থেকেও অনুদান পাওয়া যাবে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি মাদকাসক্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করলাম। প্রতি মহানগর, জেলা ও উপজেলায় একটি কমিটি গঠনের রূপরেখা দিলাম, তাতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা, ডাক্তার, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সমাজকর্মী, এনজিওকর্মী, সুশীলসমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধিসহ সকল পেশা ও শ্রেণির লোকের সমন্বয়ে কমিটির কাঠামো দিই। তহবিলের ও আয়-ব্যয়ের শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক বিধানাবলি, অ্যাকাউন্ট বই রক্ষণাবেক্ষণ ও বার্ষিক অডিটের বাধ্যবাধকতা নির্দেশিকায় অন্তর্ভুক্ত করি। আমি অবসরে আসার পর আমার উত্তরসূরি এ কার্যক্রমকে বন্ধ করে দেন। যদি আমার গৃহীত উদ্যোগ মোতাবেক কমিটিগুলো কার্যকরভাবে কাজ করত তাহলে সব জেলায় মাদকাসক্তের তালিকা তৈরি করা সম্ভব হতো। মাদকাসক্তের মধ্যে যারা সচ্ছল পরিবারের তাদের পিতা-মাতা বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনকে বাধ্য করা যেত তাদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠিয়ে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে। যারা দরিদ্র পরিবারের তাদের মাদকাসক্ত নিরাময় ফান্ড থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করা যেত। নিরাময় কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে Memo of Understanding (MOU)-এর মাধ্যমে চিকিৎসা খরচ হ্রাস করারও সুযোগ থাকত। বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোর মান সন্তোষজনক নয়। সংখ্যাও কম। বেসরকারি কিছু ভালো নিরাময় কেন্দ্র আছে সেখানে চিকিৎসা ব্যয়বহুল। সরকারিভাবে আরও উন্নত ও আধুনিক নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা জরুরি। বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রগুলোকেও সরকারের তদারকিতে আনা প্রয়োজন। যারা মনে করেন মাদকাসক্তের তালিকা তৈরি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা পুলিশের কাজ নয়, তাদের উদ্দেশে বলতে হয়- পুলিশ জনস্বার্থে অনেক কাজ করে যা পুলিশের কাজ নয়। ফৌজদারি অপরাধের বাইরে যেমন জমিজমা নিয়ে বিরোধ, টাকা-পয়সা লেনদেন, দাম্পত্য কলহ ইত্যাদি বহুবিধ সিভিল প্রকৃতির ঘটনার তদন্ত করে ভুক্তভোগীকে সহায়তা পুলিশকেই করতে হয়। দেখা যায় police job  থেকে non-police job পুলিশ বেশি করে। মাদকাসক্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা হলে মাদকের চাহিদা কমে যাবে। তখন মাদকের সরবরাহও কমে যাবে। ফলে মাদক-সংশ্লিষ্ট অপরাধও কমে যাবে। Preventive and pro-active policing-এর মাধ্যমে অপরাধ দমন ও হ্রাস করা পুলিশের কাজ। তালিকা তৈরি ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া, মাদক অপরাধের দমন ও নিবারণমূলক (Preventive and pro-active) কাজ যা পুলিশ করতেই পারে। মাদকাসক্তের তালিকা করে চিকিৎসার সহায়তা করলে অনেক ব্যক্তি ও পরিবার ধ্বংসের মুখ থেকে বেঁচে যেত। কেবল তল্লাশি, গ্রেফতার, জব্দ ও মামলা নিয়ে মাদক সমস্যার টেকসই সমাধান দূরের কথা, হ্রাস করাই সম্ভব নয়। তাই জিরো টলারেন্স নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে প্রচুর মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার, মামলা রুজু এবং বহু মাদক ব্যবসায়ী নিহত হলেও মাদকের বিস্তার ও সরবরাহ তেমন একটা কমেনি। চাহিদা কমানোর কোনো উদ্যোগ না থাকায় দেশের মাদকের চাহিদা বিদ্যমান আছে। তাই মাদকের সরবরাহও আছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর প্রয়োজনীয়সংখ্যক মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি মাদকাসক্তের তালিকা তৈরি ও তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এবং মাদকের কুফল ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক কার্যকর সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিলে মাদকের সরবরাহ হ্রাস পেতে পারে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন তরুণ ও যুবকরা মাদকের করালগ্রাস থেকে রক্ষা পেতে পারে।

পুলিশ অফিসারদের শুধু গতানুগতিকভাবে চাকরি করলে হবে না। সমাজে অনেক সামাজিক সমস্যা আছে, যা শুধু আইন দ্বারা সমাধান সম্ভব নাও হতে পারে। পুলিশ আন্তরিক হলে সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা নিয়ে তা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে। সাধারণ মানুষেরও পুলিশের কাছে অনেক প্রত্যাশা। জনগণ চায় পুলিশের হস্তক্ষেপে সামাজিক ও স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধান হোক। তারা মনে করে, পুলিশ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পুলিশ সমাজের লোককে সম্পৃক্ত করে এবং তাদের সহায়তা, সমর্থন ও পরামর্শ নিয়ে সমাজের জন্য কাজ করবে- এটা জনগণেরই প্রত্যাশা। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে গতিশীল করে পুলিশ এ দায়িত্ব পালন করতে পারে। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ- কমিউনিটি পুলিশিংয়ের এ স্লোগানের বাস্তব রূপ দিয়ে পুলিশকে ঔপনিবেসিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের জনগণের পুলিশ হতে হবে। তবেই মানুষের প্রত্যাশার সুস্থ, নিরাপদ ও বাসযোগ্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

 

               লেখক : সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ।

 

সর্বশেষ খবর