বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

দিশা হয়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে দেওয়া ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার স্বপ্নসাধ সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি জানিয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ এই বাংলায় জন্ম নিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। তিনি আমার পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নামের এ দেশটি তিনি উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের মর্যাদা। তাই তো তিনি আমাদের জাতির পিতা। দুঃখী মানুষকে ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন আজীবন। বারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করত। অধিকারহারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। এ বঙ্গভূমির বঙ্গসন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন- তাই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ বছরের ১৭ মার্চ শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদ্যাপন করা হবে। ২০২১ সালে উদ্যাপন হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। শুধু বাংলাদেশ নয়, বন্ধুপ্রতিম দেশ, ইউনেস্কো, ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মুজিববর্ষ উদ্যাপনে অংশীদার হয়েছে। মুজিববর্ষের উদ্বোধন করার কথা ছিল লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে। বিশ্বনেতাদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। বিদেশি অতিথিদের সফর স্থগিত করা হয়েছে। তবে মানুষের হৃদয়রাজ্যে যাঁর স্থান ইতিহাসের সেই মহানায়কের জন্মবার্ষিকী বছরজুড়ে পালিত হবে হৃদয়ের স্পর্শে; বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নসাধ সোনার বাংলাকে বিশ্ববাসীর কাছে মূর্তমান করার অঙ্গীকারে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে দিশা হয়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর