শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশেও প্রাণহানি

অসতর্কতা হবে আত্মহত্যার শামিল

করোনাভাইরাসে বাংলাদেশেও প্রাণহানি ঘটেছে। অসচেতনতা যে কী ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে তারই উদাহরণ ৭০-ঊর্ধ্ব এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি চলে যান না-ফেরার দেশে। বিদেশ থেকে আসা এক স্বজনের মাধ্যমে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ৮ মার্চ দেশে প্রথম  কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যিনি মারা গেছেন তার আগে থেকেই ফুসফুসে সমস্যা ছিল। ছিল ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি জটিলতা। এ ছাড়া হৃদযন্ত্রে একবার স্টেনটিংও হয়েছিল। সেদিক থেকে তিনি উচ্চঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্ত হওয়া চারজনের প্রত্যেকেই অন্যান্য রোগের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৪০, ৩০ ও ২০ বছর। তাদের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে; আরেকজনের কিডনির সমস্যা রয়েছে এবং অন্য একজনের স্ট্রোকের ইতিহাস রয়েছে। তাদের করোনার লক্ষণ-উপসর্গ মৃদু হলেও প্রত্যেকে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য দেশও বলেছে, তাদেরই মৃত্যুঝুঁকি বেশি যাদের কো-মরবিডিটি বা অন্য রোগ রয়েছে এবং যারা বয়স্ক। করোনাভাইরাস দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিমধ্যে অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্প ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মুখে। শ্রমঘন এ শিল্প করোনাভাইরাসের কারণে চালু রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠছে আমদানিকারক দেশগুলো পোশাক আমদানি করা একেবারে কমিয়ে দেওয়ায়। বিদেশ থেকে আসা লোকজনের অসতর্কতায় দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। এ বিপদ রোধে জনসমাগম এড়াতে হবে। মসজিদসহ উপাসনাগারে যাতে জ্বর সর্দি কাশি আক্রান্তরা না যান নিশ্চিত করতে হবে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক না থাকলে তা হবে আত্মহত্যার শামিল।

কোনো ধর্মই তা অনুমোদন করে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর