রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

আরাকানের হৃদয় হতে

হোসেন আবদুল মান্নান

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকেই মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে সে দেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক রাষ্ট্রদ্রোহী ‘আরসা’ (Arakan Rohingya Salvation Army) দমনের নামে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ওপর নজিরবিহীন বর্বর হামলা ও নির্যাতন চালাতে শুরু করে। তাদের দমন-পীড়ন ও বাড়িঘরে অগ্নিকান্ডের ফলে প্রাণের ভয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ বাংলাদেশের অভিমুখে পাড়ি জমাতে থাকে। তারা শুধু আত্মরক্ষার্থে বা জীবনের মায়ায় অনিশ্চিত গন্তব্য জেনেও নাফ নদী পার হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার দিকে আসতে থাকে। সে সময় সীমান্তে কর্তব্যরত বাংলাদেশের বিজিবিসহ সব বেসামরিক সংগঠন সরকারের নির্দেশে নির্যাতিত ছিন্নমূল মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে কাজ করতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দেন। তিনি সম্পূর্ণ মানবিক কারণে এদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ার দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। কাল বিলম্ব না করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও রোহিঙ্গা শরণার্থী পুনর্বাসন কমিশনার (RRRC)-এর কার্যালয় থেকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অতীতে বিভিন্ন সময়ে আগত রোহিঙ্গাদের বাদ দিলে এ পর্বে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সর্বমোট এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে। যারা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের মোট ৩২+২=৩৪টি ক্যাম্পে প্রায় সাত হাজার একর জমিতে ৩৪০ বর্গ কি.মি. এলাকাজুড়ে অবস্থান করছে। এদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সেনিটেশন, পানীয় জল ইত্যাদি ও নিরাপত্তা বিধানের নিমিত্ত সরকারের পাশাপাশি শতাধিক দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (NGO) নিরন্তর কাজ করে চলেছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংক চেয়ারম্যান ও আইওসিভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দ ক্যাম্পসমূহ পরিদর্শন করেছেন। ফলে সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশে বসবাসকারী এ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর। একই সঙ্গে এমন মানবিক পদক্ষেপ নেওয়ায় রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।  ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে আমি একাধিকবার মিয়ানমারের রাজধানী ‘নেপেটো’তে যাওয়ার সুযোগ পাই। সে সময় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গন থেকে বিমানে রাখাইনের আকিয়াব শহরে পৌঁছি। সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে রাখাইনের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ, শহর লোকালয় দর্শনের দুর্লভ অভিজ্ঞতা অর্জন করি। মংডু শহর সার্কিট হাউস, অফিস-আদালত এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগঞ্জ ঘুরে ঘুরে জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিকাে র ধ্বংসাবশেষ সরাসরি প্রত্যক্ষ করি। এ ধরনের নিষ্ঠুর বর্বরতা ও পাশবিকতা মধ্যযুগকেও যেন হার মানায়। লক্ষ করেছি, তারা কেবল আন্তর্জাতিক চাপে সে অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরের পার্শ্বেই একাধিক ক্যাম্প নির্মাণ করে তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। এতে আন্তরিকতার কোনো ছাপ নেই, অনেকটা লোকদেখানো বলেই মনে হয়েছিল। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে নিষ্ঠুরতম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা মূলত ethnic cleansing এর উদ্দ্যেশ্যে এমন নারকীয় অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। উন্নয়ন কর্মকা , শিল্পায়ন, বিদ্যুৎ প্লান্ট, সমুদ্রবন্দর ইত্যাদির নামে তারা প্রতিবেশী উন্নত ও শক্তিশালী রাষ্ট্র যেমন- চীন, রাশিয়া ও ভারতকে প্রভাবিত করে এবং বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়।

বলা বাহুল্য, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সম্পর্কে আমাদের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ধারণা (conception) এক নয়। এ জাতি, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের গোড়াপত্তনের ইতিহাস নানা দুঃখ বেদনা আর বৈচিত্র্যে ভরপুর। ইতিহাসের এক বিস্ময়কর অমোঘ ট্র্যাজেডির নাম রোহিঙ্গা। ভৌগোলিক পরিচয় থেকে দেখা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ রাষ্ট্র বার্মা বা বর্তমানের মিয়ানমার। আজকের রাখাইন বা আরাকান রাজ্যটি বার্মারই একটি অন্যতম প্রধান প্রদেশ। তবে আরাকান অতি প্রাচীনকাল থেকেই অর্থাৎ ১৭৮৫ খ্রি. পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার বছর ধরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। ‘বাঙালাই’ থেকে বাঙলা এবং ‘আরা’ থেকে ‘আরাকান’ নামের উৎপত্তি হয় মূলত ফারসি ভাষার মাধ্যমে। বিখ্যাত দার্শনিক আবুল ফজল তাঁর ‘আইন-ই-আকবরী’ বইয়ে আরাকানকে ‘আরা’ বলে উল্লেখ করেন। বর্তমানে এটি মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের একটি রাজ্য যার আয়তন ১৮ হাজার ৫৪০ বর্গমাইল। রোহিঙ্গা ছাড়াও সেখানে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোক বাস করছে। লোকসংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। বৌদ্ধ ২৫ লাখ, মুসলিম ১৫ লাখ, হিন্দু-খ্রিস্টান ও প্রকৃতি পূজারি সব মিলে বাকি ১০ লাখ। তবে সেখানে ‘থেরবাদী’ বৌদ্ধই হলো প্রধান ধর্ম। ১৯৪৮ সালের ০৪ জানুয়ারি বার্মা স্বাধীনতা লাভ করে। তখন বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে দেশটি যাত্রা শুরু করেছিল। সে সময় বার্মার পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদেরও প্রতিনিধিত্ব ছিল। এমনকি সরকারের উচ্চপদের তারা ছিল। তাদের রাজনৈতিক দল ছিল ‘মুজাহিদ পার্টি’ নামে। যারা ১৯৬২ সাল পর্যন্ত দেশে সক্রিয় রাজনীতিতে ছিল। সে বছর জেনারেল নে ইউন এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বার্মার ক্ষমতা গ্রহণ করলে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে রোহিঙ্গারা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে অস্তিত্বহীন (Marginalised) হতে শুরু করে। তাদের ললাটে নেমে আসতে থাকে চরম দুর্ভোগ। নিজ দেশে পরবাসীর মতো বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হতে থাকে। এরপর থেকেই পর্যায়ক্রমে এদের ওপর চালানো হয় সামরিক অপারেশন, হত্যাযজ্ঞ, খুন, ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ এসব। সে সময়ের সামরিক জান্তারা এদের ওপর ‘কিং ড্রাগন’ অপারেশন নাম দিয়েও অত্যাচার, নির্যাতন চালায়। শুরু হয় কালো অধ্যায়। মূলত তখন থেকেই রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার করুণ ইতিহাস সূচিত হয়। 

১৯৭৪ সালে মিয়ানমার সরকার ঐতিহ্যবাহী আরাকান প্রদেশের নাম পরিবর্তন করে এর নতুন নাম দেয় ‘রাখাইন’। তখন থেকেই এটি রাখাইন প্রদেশ। রাজধানীর নাম ‘আকিয়াব’। রাখাইনের উত্তরে চীন ও ভারত। দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পশ্চিমে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাফ নদী এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল। এখানে উল্লেখ্য, বার্মায় ১৯৮২ সালে সামরিক জান্তা কর্তৃক ‘নাগরিকত্ব আইন’ প্রণয়ন করার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের স্বদেশের মাটিতে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে শুরু করে। ১৯৮৯ সালের ১৮ জুন তারিখে বার্মা সরকার এক সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে বার্মার নাম পরিবর্তন করে দেশের নাম রাখে ‘মিয়ানমার’। একই সঙ্গে রাজধানী রেঙ্গুনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ইয়াঙ্গুন’। অভ্যন্তরীণ নানা সরকারি পদক্ষেপের কারণে এবং সুদীর্ঘকালের সামরিক শাসনের কবলে থাকা দেশটি বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমাগত আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েই চলেছে। তাদের বিরামহীন নিষ্ঠুর জাতিগত নিধনের ইতিহাস বিশ্ববাসী যেন অবলীলায় অবলোকন করেই চলেছে। বলা যায়, মিয়ানমার বিশ্ব সংস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একলা চলার নীতিতে অটল থেকেই বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত রেখে চলেছে। 

অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে পাওয়া যায়, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বঞ্চিত করে আসছে ব্রিটিশ শাসনের অব্যবহিত পর থেকেই। রোহিঙ্গা এবং মুসলমানরা ব্রিটিশ রাজের অধীনে সেখানে যথেষ্ট আত্মমর্যাদা নিয়ে বসবাস করেছিল। তখন তারা নিজের মাতৃভূমিতে সমান অধিকার নিয়েই বেঁচেছিল। কিন্তু কালক্রমে এ অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। সামরিক শাসনের অধীনেই সব ধরনের অধিকার হরণ করা হয়। এমনকি মিয়ানমার সরকার এক পর্যায়ে এসে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে চায় না। নিজ দেশে থেকেও তাদের বিনা বাধায় দেশের সর্বত্র ভ্রমণ করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমির অধিকার, চাকরিসহ যাবতীয় নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের পৈতৃক ভিটে মাটি, মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র সামরিক বাহিনী কর্তৃক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব করা হয় নগরের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে। রোহিঙ্গাদের নিজেদের বিয়ে শাদিতেও বাধা দেওয়া হয়। শিশুসন্তানদের রাখা হয় মানবেতর করে। তাদের জন্য কোনো ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নেয়নি সরকার। নতুন করে চালু করা হয় ‘গ্যাটো ব্যবস্থা’। এতে রিফিউজির মতো তালিকাভুক্ত হয়ে বাস করার ব্যবস্থা নেয় তারা। তালিকার বাইরে থাকা মানে দেশত্যাগ। রোহিঙ্গাদের ইতিহাস থেকে দেখা যায়, ১৯৬২ সালের পর ১৯৭৭-৭৮ সালে এবং ১৯৯১-৯২ সালে মিয়ানমারের সব সামরিক সরকারই কোনো না কোনোভাবে জাতিগত দাঙ্গা, হত্যা, অগ্নিকা , বিভিন্ন নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। কোনো সরকারই এর সমাধানে যৌক্তিক পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তাদের বদ্ধমূল ধারণা রোহিঙ্গারা প্রকৃতপক্ষে বাঙালি। বাংলাই এদের দেশ। ব্রিটিশরাই এদের প্রথম বার্মার আরাকানে নিয়ে আসে। তাদের এমন ধারণা যে ঐতিহাসিকভাবে বার বার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে সে দিকে তাদের বিন্দুমাত্র নজর নেই, ভ্রƒক্ষেপ নেই। 

রোহিঙ্গাদের কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। তবে উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দ ও আছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গা নেতাদের ঐতিহাসিক দাবি হচ্ছে, তাদের পূর্বপুরুষরা অষ্টম ও নবম শতাব্দীতে আরাকান এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে। ৯৫৭ সালের দিকে রাখাইন সম্প্রদায় আরাকানে গোড়াপত্তন করেছিল। এতে বোঝা যায়, ব্রিটিশদের আগমনের হাজার বছর পূর্বেই আরাকানের গোড়াপত্তন ঘটে। এখানে আরব, ফরাসি, পর্তুগিজ, ডাচ ব্যবসায়ীরাও এসেছিলেন। বর্তমান ‘আকিয়াব’ শহরটির নাম ফরাসি ভাষা ‘এক-আব’ থেকে উৎপত্তি হয়েছিল। জানা যায়, ওই অঞ্চলে তখন ইসলাম ধর্মের প্রভাব ও বিস্তার ছিল প্রবল। নৌপথের ব্যবসা-বাণিজ্যে মুসলমানরা এগিয়ে ছিল। উল্লেখ্য, বে অব বেঙ্গলের তীরবর্তী ছোট শহর আকিয়াবে আজো ব্রিটিশদের তৈরি ‘লাইট হাউস’ শোভা পাচ্ছে।

ড. মুহাম্মদ এনামুল হক এর ‘আরাকান রাজসভায় বাংলাসাহিত্য’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষার বিবর্তনেও ওই অঞ্চলের ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। তদের মন্ত্রী মাগন ঠাকুররে ভূমিকাও বিবৃত হয়েছে। মহাকবি আলাউল তার ‘পদ্মাবতী’ কাব্যে রোসাঙ্গ জনগোষ্ঠীর বিবরণ দিতে গিয়ে বলেছেন। ‘নানা দেশি নানা লোক শুনিয়া রোসাঙ্গ ভোগ আইসন্ত নৃপ ছায়াতলে। আরবি, মিসরি, সামি, তুর্কি, হাবশি ও রুমি, খোরাসানি উজবেকি সব। লাহোরি, মুলতানি, সিন্ধি, কাশ্মিরী, দক্ষিণি হিন্দু, কামরূপী আর বঙ্গদেশি, বহু শেখ, সৈয়দ জাদা, মোগল, পাঠান যোদ্ধা, রাজপুত, হিন্দু নানা জাতি।’ কাজেই এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই রোহিঙ্গারাই ইতিহাস প্রসিদ্ধ রোসাঙ্গ সভ্যতার ধারক এবং বাহক। তবে এটাও সত্য যে, নানা জাতির সংমিশ্রণে, নানা ভাষার ধ্বনিতে যুগে যুগে সমৃদ্ধ হয়েছে রোহিঙ্গা জাতি। এরা সরকারহীন, রাষ্ট্রবিহীন (Stateless) নয়, বরং তাদের সমাজচ্যুত, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত (Forcibly Displaced) মানুষে পরিণত করা হয়েছে। আর এদের বর্তমান সংকটের দায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারসহ আজকের আধুনিক বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী সব মানব জাতির ওপরও বর্তায়।

               লেখক : গল্প ও প্রবন্ধকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর