রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাস মোকাবিলা

চিকিৎসকদের প্রস্তুত করা হোক

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অপ্রস্তুত দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অপ্রস্তুত চিকিৎসাব্যবস্থা। প্রাণঘাতী কভিড-১৯ থেকে মানুষকে বাঁচাতে চিকিৎসকদের সহায়তার কোনো বিকল্প নেই। অথচ চিকিৎসার জন্য তাদের প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থার কথা বলা হলেও সেখানেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিও ভবনে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থার কথা বলা হলেও সেখানে করোনা পরীক্ষার সরঞ্জাম নেই। এ ছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রটেকটিভ গাউন, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতে পারছে না সরকারি হাসপাতালগুলো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রয়েছে চরম আতঙ্ক। বেশির ভাগ কর্মকর্তা ও চিকিৎসক করোনা আতঙ্কে অফিসেই অনেকটা সেলফ কোয়ারেন্টাইন করছেন। তারা কোনো রোগী কিংবা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দেখাও করছেন না, কথাও বলছেন না। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। করোনা চিকিৎসার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৬ মার্চ শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন বর্ধিত ভবনে পৃথক করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। করোনা চিকিৎসায় দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের কথা থাকলেও একটি স্টিলের শয্যা আর ছোট বক্স ছাড়া দেওয়া হয়নি কিছুই। নতুন ওই ওয়ার্ডের জন্য সাতজন সিনিয়রসহ ২৮ সদস্যের চিকিৎসক ও ৩০ সদস্যের নার্স দল থাকলেও তারা এ রোগের ওপর বিশেষজ্ঞ নন। গত কয়েক দিনে কয়েকটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে করোনা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন নামমাত্র প্রস্তুতি থাকলেও করোনা শনাক্তকরণের কোনো ব্যবস্থা (কিট) দেওয়া হয়নি। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের প্রস্তুতি একেবারে নেই বললেই চলে। ইতালির মতো দেশে যেখানে নিজেদের সুরক্ষার সরঞ্জামাদি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা নিজেরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন সেখানে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া চিকিৎসকরা কী চিকিৎসা দেবেন, তা সহজেই অনুমেয়। বিপদ এড়াতে দ্রুত এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর