রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য

জননিরাপত্তার পদক্ষেপ নিন

রাজধানীতে করোনাভাইরাস আতঙ্কে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ায় ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। ফাঁকা রাস্তায় তারা চড়াও হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের ওপর। লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব। গত দুই মাসে রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ নিরপরাধ মানুষ। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঢাকা মহানগরীর যানবাহন চলাচল ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। সাধারণ পথচারীদের চলাচলও কমেছে ৫০ শতাংশের বেশি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহলও কমেছে আগের চেয়ে; যা ছিনতাইকারী চক্রের জন্য অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতি সম্প্রতি রাজধানীতে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ধ্যার পর টহলে থাকছেন না। এ সুযোগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনানী সেতু ভবনের সামনের সড়কে যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি অফিসকর্মী মনির হোসেনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে বুকে ছুরি মেরে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এর আগে বুধবার রাতে মিরপুরের কাফরুল থানার আগারগাঁও প্যারেড গ্রাউন্ডের ৯ নম্বর গেটের সামনে এক পথচারীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালাতে থাকলে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের চাপায় প্রাণ হারান পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি এএসআই পদে কাফরুল থানায় কর্মরত ছিলেন। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের ধারেকাছের এলাকাগুলোয় প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের একাধিক ঘটনা ঘটছে। সিদ্ধেশ্বরীর কালীমন্দিরের সামনের গলি ও মৌচাকসংলগ্ন এলাকায় ভোর এবং একটু রাত হলেই শুরু হয় ছিনতাইকারী নামের মানুষ শকুনদের তৎপরতা। রাজধানীতে ছিনতাইয়ের যেসব ঘটনা ঘটে গড়ে তার এক কিংবা দুই শতাংশের খবর থানা পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছায়। সর্বস্ব হারিয়ে আবারও হয়রানি হওয়াকে নাগরিকরা নিরাপদ মনে করে না। ফলে ছিনতাইয়ের ঘটনা পুলিশের রেকর্ডে থাকে না। করোনাভাইরাস আতঙ্কে রাজধানীর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ায় ভোরের দিকে এবং সন্ধ্যার পর পুলিশি টহল বাড়ানো দরকার। ছিনতাই উপদ্রুত এলাকায় বাড়ানো দরকার পুলিশি প্রহরা।

সর্বশেষ খবর