মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা

কভিড-১৯-বিরোধী লড়াইয়ে জয়ী হবে মানুষ

কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির জন্য সারা দুনিয়ায় বিজ্ঞানীরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ভাইরাসের কাছে যাতে মানবজাতি পরাজিত না হয় তা নিশ্চিত করতে ভ্যাকসিন তৈরি ও বাজারজাতের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিউবা, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী ভাইরাস ঠেকাতে গবেষণা করছেন। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাও অল্প খরচে কভিড-১৯ শনাক্ত করার কিট উদ্ভাবনে সমর্থ্য হয়েছেন। তা বাজারজাত করার প্রস্তুতিও চলছে। স্বস্তির খবর দিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ও চায়না ডেইলি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গবেষকরাও করোনাভাইরাসের একটি প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন। আবিষ্কৃত এ ওষুধ প্রয়োগ করে করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। ওষুধটি প্রাথমিক ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন। অন্যদিকে ফ্যাপিলাভির নামে আরেকটি অ্যান্টিভাইরাল নভেল করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করতে সক্ষম হয়েছে চীন। ঝেঝিয়াং প্রদেশের সরকার ফ্যাপিলাভির অ্যান্টিভাইরালটি বাজারজাতকরণের অনুমতি দিয়েছে। করোনাভাইরাসের এটিই প্রথম কোনো প্রতিষেধক যা দেশটির ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনেরও অনুমোদন পেয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সফল চিকিৎসায় চীনে ব্যবহৃত একটি ওষুধ শিগগিরই উৎপাদন করতে যাচ্ছে ইরান। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা এ খবর জানিয়ে বলেছেন, ওষুধটির কাঁচামাল এরই মধ্যে ইরানে এসে পৌঁছেছে এবং এগুলো কাস্টমস থেকে ছাড়িয়ে আনার পর দুই দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ওষুধটির উৎপাদন শুরু করবে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সে দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবিত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে আক্রান্ত রোগীর জ্বর কমিয়ে তাকে সুস্থ করতে সক্ষম হয়েছে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, তারা অচিরেই এ ঘাতক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবার কার্যকর ভ্যাকসিন ও ওষুধ আবিষ্কারে সক্ষম হবেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা বেঁচে ফিরেছেন তাদের রক্ত থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে ওষুধ তৈরির নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে এসব বিষয়ে জোর গবেষণাও চলছে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবজাতির লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত মানুষই জয়ী হবে- এমন প্রত্যাশা আমাদেরও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর