বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

১০ দিনের গণছুটি

বিপদ ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে একই সঙ্গে কয়েকটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব রাখা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে গতকাল সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। তারা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে। একই সঙ্গে সরকার আগামীকাল ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস এ সময়ে বন্ধ রাখা হবে। তবে হাসপাতাল, ফার্মেসি, খাদ্যপণ্যের দোকান ও কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। ওই সময়ে দেশবাসীকে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাসা-বাড়ির বাইরে বের না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গণপরিবহন এড়িয়ে চলার জন্য দেশবাসীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক-বিমা তাদের সুবিধামতো সীমিত আকারে খোলা রাখার ব্যবস্থা করবে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, করোনাভাইরাস জাতীয় নয়, এটি একটি বৈশি^ক প্রাদুর্ভাব। বাংলাদেশে এতে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু নমুনা পাওয়া গেছে এবং ইতিমধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এটি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সরকারের সবকিছু যুক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও বেসরকারি প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী নামানো এবং ১০ দিন সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধের ঘোষণা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে দেশের সাধারণ মানুষকে অনেকাংশে রক্ষা করবে। বিপদ এড়াতে এ ধরনের পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। এ পর্যন্ত আমাদের দেশে করোনাভাইরাসে যারা মারা গেছেন তার মধ্যে অন্তত দুজন মসজিদের মুসল্লি। মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার সময় তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে নিজেরাও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা আশা করব, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী অন্তত দুই সপ্তাহে সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত কেউ যাতে মসজিদ, মন্দির, গির্জায় না যান তা নিশ্চিত করা হবে। বৃদ্ধদের ঘরের বাইরে বেরোনো নিয়ন্ত্রণও জরুরি।

প্রয়োজনে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণার কথা ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর