বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

অটুট থাকুক মনোবল

অপপ্রচারকারীদের রুখতে হবে

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের সবচেয়ে মূলধন তার মনোবল। সন্দেহ নেই, এ ভাইরাস ভয়াবহ বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে মানুষকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মানুষ রোগব্যাধি, বিপদাপদের বিরুদ্ধে লড়াই করেই বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে। একসময় প্লেগ, কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। সেসব রোগ এখন আর মরণঘাতী নয়। মানুষের কাছে একদিন নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসও পরাজিত হবে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণাধীনে। কিন্তু গুজবের কারণে জনমনে আতঙ্ক দানা বেঁধে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধেও অকারণ বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রথম কাতারে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে। করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। কেউ মারা গেলে তার সৎকারে তারা ভূমিকা রাখছে। অথচ পুলিশকে বিতর্কিত করতে কাল্পনিক তথ্য সামাজিক প্রচারমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গুজব ছড়ানো ও মিথ্যাচার বন্ধ করে পুলিশকে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একটি দুষ্টচক্র অতীতের বিভিন্ন সময়ের পুরনো ছবি ও ভিডিও যেগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে সে সময়ই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা এডিট বা কৌশলে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে পোস্ট দিচ্ছে। এমনকি ২০১১ সালে পুলিশ কর্তৃক বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস দমনের ছবিও ফটোশপ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ধরনের মিথ্যাচারের ফলে পুলিশের প্রায় শতভাগ সদস্য যারা দেশ ও জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারসহ নানা উপায়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন, তারা মানসিকভাবে ডিমোটিভেটেড হচ্ছেন। পুলিশবাহিনী আমাদের সমাজেরই অংশ। সমাজের অন্যসব স্তরের মতোই তারা ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু পুলিশহীন অবস্থা সভ্যসমাজে অচল। জাতীয় দুর্যোগের এই কঠিন দিনে যারা মানুষের মনোবল নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের সুমতি ফিরে আসুক- আমরা এমনটিই কামনা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর