বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
ভেষজ

গ্যাস্ট্র্রিক চিকিৎসা

শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী ভেষজ-হারবালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য ওষুধের মতো প্রাচীনকাল থেকেই হারবাল ওষুধ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মানবদেহের যে কোনো জটিল ও কঠিন রোগ নিরাময় করা যাচ্ছে। কেননা এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

 

মানবদেহের গ্যাস্ট্র্রিক বা পাকস্থলী প্রদাহে সাধারণত সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া, ভেজালযুক্ত খাবার খাওয়া, গুরুপাক-জাতীয় খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত ভোজন গ্যাস্ট্রাইটিস রোগের কারণ। খাবারে বেশি পরিমাণে মশলা ও তেলের ব্যবহার গ্যাস্ট্রাইটিসের সৃষ্টি করে।

এর উপসর্গগুলো হলো : গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করা, টক টক ঢেঁকুর ওঠা, বমি বমি ভাব ও বমি করা, খাওয়ার আগে বা পরে পেট ব্যথা করা, পেট ফেঁপে যাওয়া; টকজাতীয় খাবার অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি করে।

এসব উপসর্গযুক্ত রোগীর নিয়মিত সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা বাঞ্ছনীয়। অন্যদিকে দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রাইটিস থাকলে তা কালক্রমে পাকস্থলী ও অন্ত্রে ক্ষতের সৃষ্টি করে। আর সেই ক্ষতই হলো পেপটিক আলসার অথবা ডিওডেনাল আলসার।

ভেষজ চিকিৎসা : গ্যাস্ট্রাইটিস ও গ্যাস্ট্রিক আলসারে আমলকী, হরীতকী, বহেড়া, যষ্টিমধু, খয়ের, মঞ্জিষ্ঠা, হলুদ, আদা, গোলমরিচ, ইসবগুল, বাবলাগাম ইত্যাদি খুবই কার্যকর। অন্যদিকে ভেষজভাবে এখন নানা ধরনের ওষুধও গ্যাস্ট্রিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

                ডা. আলমগীর মতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর