বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে

পদ্মা সেতুর শেষ খুঁটি বসেছে

পদ্মা সেতুর ৪২তম অর্থাৎ সর্বশেষ খুঁটি বসানোর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এর ফলে দেশের বৃহত্তম এই সেতুর নির্মাণকাজের ৮৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হলো। মূল সেতুর নির্মাণকাজ আর মাত্র ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ বাকি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারা দেশের মানুষ ঘরে থাকলেও পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখা হয়। দেশীয় শ্রমিকদের ৭০ শতাংশ এবং প্রকৌশলীদের একাংশ করানোভাইরাসের ভয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেলেও বাকি কর্মীরা বাড়তি শ্রম দিয়ে নির্মাণ তৎপরতা জিইয়ে রাখছেন। খুঁটি বসানোর কাজ শেষ হওয়ার পর এখন থেকে স্প্যান, রোডওয়ে স্ট্যাব, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ আনুষঙ্গিক কাজ চলবে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে বলা হয়েছে, এপ্রিলে আরও দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে এপ্রিলের মাঝামাঝি ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারের ওপর একটি স্প্যান এবং এর সপ্তাহখানেক পর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ১৯ ও ২০ নম্বর পিয়ারের ওপর আরও একটি স্প্যান বসানো হবে। এপ্রিলে দুটি স্প্যান বসানোর পর পদ্মা সেতুর প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে। পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি চীন থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছে। এর মধ্যে ২৭টি স্প্যান বসানোর পর ৪ হাজার ৫০ মিটার সেতু এখন দৃশ্যমান। বাকি দুটি স্প্যান ২০ এপ্রিল চীন থেকে সমুদ্রপথে রওনা হবে। মে মাসের মাঝামাঝি দেশে আসার পর মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে এ দুটি স্প্যান জোড়া লাগানোর কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে পাঁচটি স্প্যান জোড়া লাগানো হয়েছে। রং করার পর এগুলো পিয়ারের ওপর বসানো হবে। পদ্মা সেতুর মূল কাজের প্রায় ৮৭ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনমনে আশা সঞ্চার হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এ সেতুর প্রভাবে কেটে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দুর্দিন। রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগের বদৌলতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দেশের অন্যতম প্রধান উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকাজুড়ে শিল্পায়নের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর