শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাবিরোধী যুদ্ধ

দেশ ও জাতিকে জয়ী হতেই হবে

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সরকারের প্রায় সব মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হয়েছে। ভাইরাসের আগ্রাসন ঠেকাতে সঙ্গনিরোধ বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এটি যাতে মানা হয় সেজন্য সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে। করোনাভাইরাস ঠেকানোর লড়াইকে প্রাধান্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের প্রকাশ্য অনুষ্ঠানমালা বাদ দেওয়া হয়েছে। পয়লা বৈশাখের ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে সঙ্গনিরোধ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে করোনাবিরোধী যুদ্ধে সক্রিয় করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে এমন কোনো মন্ত্রণালয় নেই যাদের করোনাভাইরাসবিরোধী যুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত করা হয়নি। মানুষ বাঁচানোকে এ যুদ্ধের লক্ষ্য হিসেবে নেওয়া হয়েছে। মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচলে সবকিছু টিকে থাকবে- এ পণ সামনে রেখে পুরো সরকারব্যবস্থাকে সক্রিয় করা হয়েছে করোনাবিরোধী যুদ্ধে। বাংলাদেশে অঙ্কের হিসাবে করোনার থাবা এখনো সীমিত। কিন্তু সরকার একে আত্মপ্রসাদের দৃষ্টিতে দেখছে না। দেশবাসীকে আরও সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করছে। যাতে মানুষ করোনা নামের ভয়াল দৈত্যের থাবা থেকে রক্ষা পায়। সরকারের বিশ্বাস, দেশবাসী সঙ্গনিরোধের নির্দেশনা মেনে চললে অচিরেই দেশ করোনার থাবা থেকে মুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়নের পাশাপাশি অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামীতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই ছকও তৈরির চেষ্টা করছে সরকার। করোনাবিরোধী লড়াইয়ে পুরো সরকারব্যবস্থার সন্নিবেশ ঘটানো নিঃসন্দেহে একটি বুদ্ধিদীপ্ত ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কাজটি খুব জরুরি। সে ক্ষেত্রে সরকার কতটা সক্ষমতা দেখাতে পারবে, তার ওপর তাদের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর