সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকার ঘোষিত ৫ প্যাকেজ

দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হবে

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে চারটিসহ মোট পাঁচটি প্যাকেজে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন। রবিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। করোনাভাইরাস জনিত অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা কাটাতে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার আওতা বৃদ্ধি, কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হচ্ছে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। বিশ্বের জানা ইতিহাসে কখনো বিশ্বজুড়ে এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেনি। বাংলাদেশ যখন দ্রুততালে অর্থনৈতিক দিক থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন এ বিপর্যয় জাতীয় অর্থনীতিতে হোঁচট খাওয়ার মতো বিসংবাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় প্রথমটিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। ৯ শতাংশ সুদের এই ঋণ সুবিধার অর্ধেক অর্থাৎ সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ সরকার পরিশোধ করবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে দ্বিতীয় প্যাকেজে দেওয়া হবে ২০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল। যার ৯ শতাংশ সুদের ৫ শতাংশ সরকার পরিশোধ করবে। তৃতীয় প্যাকেজে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ সুবিধা বর্তমানের ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। সুদের হার কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২ শতাংশ। চতুর্থ প্যাকেজে  প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার নতুন ঋণ সুবিধা চালু করবে যার সুদের হার হবে ৭ শতাংশ। এই চার প্যাকেজের পাশাপাশি আগের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা দানে দেওয়া হবে। যা পরবর্তীতে ঋণগ্রহীতা স্বল্পসুদে পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন। পাঁচটি প্যাকেজে যে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে তা জিডিপির প্রায় ২.৫২ শতাংশ। আশা করা যায় এ প্যাকেজ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পোদ্যোক্তারা করোনাভাইরাসজনিত সংকট মোকাবিলায় সক্ষম হবেন। জাতীয় অর্থনীতির জন্য যা আশীর্বাদ বলে বিবেচিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর