মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

অঘোষিত লকডাউন

সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করবে

জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে কারও প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবার পোশাক কারখানা খোলার খবরে রাজধানীমুখী শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামে। দিনভর হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ হেঁটে ও বিভিন্ন মাধ্যমে রাজধানীতে ফিরতে থাকেন। এতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়। শনিবার রাতেই এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাজধানীমুখী মানুষের ঢল থামাতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশ দেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। পুলিশ সদর দফতর থেকে বলা হয়েছে, পরবর্তী সরকারি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঢাকায় প্রবেশ অথবা ত্যাগ করতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে জনগণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য জরুরি ছাড়া একক বা দলবদ্ধভাবে বাইরে ঘোরাফেরাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে যেখানে আছেন, সেখানে অবস্থান করতে হবে। কোথাও সমবেত হওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ঘরে থাকার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এসব উদ্যোগ অনেকাংশে ব্যাহত হয় সাধারণ ছুটি পেয়েই গার্মেন্ট শ্রমিকসহ কর্মজীবীদের সিংহভাগের গ্রামমুখী হওয়ার প্রবণতায়। গার্মেন্ট চালু হওয়ার খবরে শ্রমিকরা দলে দলে ঢাকামুখী হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা ক্ষুণ্ন হয়। এ প্রেক্ষাপটে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বা অঘোষিত লকডাউন বেপরোয়া মনোভাবে লাগাম পরাতে সাহায্য করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাটি অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর