বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ওরা দেশবাসীর পাশে নেই

নব্য সাইলকদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন

এনজিও এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহামারীর এই দুঃসময়ে কোথাও নেই। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সেবার নামে গড়ে উঠেছে একের পর এক এনজিও। বাংলাদেশে বিদেশি প্রভুদের স্বার্থরক্ষা এবং গরিব-অসহায় মানুষকে অক্টোপাসের মতো ঋণের জালে আবদ্ধ করে সুদ ব্যবসার সম্প্রসারণ ছাড়া তারা জনগণের কোনো কল্যাণ করছে কিনা তা দেশবাসীর অজানা। একইভাবে উচ্চ শিক্ষা সম্প্রসারণের নামে ঢালাওভাবে সার্টিফিকেট বিক্রয় সিংহভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ব্যবসা। শিক্ষার নামে এর মালিকরা কোটি কোটি টাকা আয় করলেও দেশবাসীর দুর্দিনের সময় তারা তাদের পাশে নেই। এনজিও ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, দেশে অন্তত আড়াই হাজার এনজিও রয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের মানুষ ও সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৬টি এনজিও। ত্রাণ তহবিলে অর্থ দেওয়া দূরের কথা বরং এনজিওগুলো ব্যস্ত দেশি-বিদেশি তহবিল সংগ্রহের কাজে। একই সঙ্গে সরকারি ত্রাণ বিতরণের কাজ পেতে তদবির করছে তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। বিষয়টা এমন যে, তহবিল এলেই তারা কাজ করবে। অন্যথায় মানুষের প্রতি তাদের যেন কোনো দায়িত্ব নেই। একই অবস্থা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও। দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৫টি। আর বেসরকারি ব্যাংকও অর্ধশত। অথচ হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লোক দেখানো কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বিতরণ করেই দায়িত্ব শেষ করেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালীসহ বেসরকারি খাতের পাঁচ-সাতটি ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কিছু অর্থ প্রদান করেই আত্মপ্রসাদে ভুগছে। করোনাভাইরাস মহামারীতে জাতি যখন অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে তখন যার যা আছে তা নিয়ে সবাই জনগণের পাশে দাঁড়াবে- এটি খুবই প্রত্যাশিত। কিন্তু যারা শত শত কোটি টাকার মালিক, যারা সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নিজেদের পুঁজির পাহাড় স্ফীত করেছে তাদের অনুদার ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক। দেশ ও জাতির স্বার্থে এই নব্য সাইলকদের বিরুদ্ধে সবারই সচেতন হওয়া দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর