শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ একা নয়

বন্ধু দেশগুলোর ইতিবাচক ভূমিকা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ একা নয়। বন্ধু দেশ ভারতসহ সার্ক দেশগুলো দুর্যোগপূর্ণ সময়েও আমদানি-রপ্তানি সচল রাখার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে সহায়তা করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত ১৫ সদস্যের মেডিকেল টিম পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে চীন। চীন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও মিয়ানমার যৌথ বিবৃতি দিয়ে পোশাক ক্রেতা দেশ এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের দেওয়া ক্রয়াদেশ বাতিল না করার অনুরোধ জানিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর যৌথ আবেদন ক্রেতাদের সুমতি সৃষ্টিতে অবদান রাখবে। করোনাভাইরাস নামের অভিশাপের উৎপত্তি চীন থেকে। এ ভাইরাস সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চীনের উহানে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় করোনাভাইরাস। মনে হচ্ছিল তা মহামারী আকারে সারা চীনে ছড়িয়ে পড়বে। তবে চীন হার না মানা মনোভাব নিয়ে শক্ত হাতে এ ভাইরাসের আগ্রাসন ঠেকিয়েছে। মৃত্যুপুরী উহানে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। চীন এখন বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা করছে। দুর্দিনে চীনের পাশে দাঁড়ানোর কারণে বাংলাদেশের প্রতি বাড়তি মমত্ব দেখিয়েছে জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পরাশক্তির দাবিদার বন্ধু দেশটি। ইতিমধ্যে তারা বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো দুর্যোগের সময়েও আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত রাখায় অর্থনৈতিক দিক থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকার সুযোগ পাওয়া যাবে। এর আগে চীনও দিয়েছে অভিন্ন আশ্বাস। করোনাভাইরাস এক বৈশ্বিক সংকট। কোনো দেশের পক্ষে একা এ বিপদ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। বিপদের দিনই বন্ধুত্বকে মূর্তমান করার সঠিক সময়। দুর্দিনের বন্ধুদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর