বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ভোগ্যপণ্যের সংকট

পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন হোক

রোজা সামনে রেখে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হলেও চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারজট ও দেশের বিভিন্ন ঘাটে পণ্য আটকে থাকায় বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখা দিচ্ছে। পণ্য পরিবহন ও শ্রমিক সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের আমদানিকৃত পণ্য সময়মতো পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বন্দর ও বিভিন্ন স্থানে আমদানিকৃত পণ্য আটকে থাকায় ছোলা, মসুর ও ডাবলি বা মটর ডালের দাম টিসিবির হিসাবে ১৯ শতাংশ বেড়েছে। চিনি, পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পেছনেও তা ইন্ধন জোগাচ্ছে। করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থায় দেশের গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতা প্রায় শূন্যের কোঠায়। ফলে পণ্যের বাজারে বেচাকেনা এমনিতেই কম। কিন্তু জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব ও পরিবহন অচলাবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য হয়ে উঠেছে। খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বন্দরে গার্মেন্ট পণ্যের কনটেইনার পড়ে থাকায় তারা তাদের পণ্য জাহাজ থেকে নামাতে পারছেন না; যা ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে  ও সাধারণ মানুষকেও বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতির হৃৎপি- চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কনটেইনার ডেলিভারি হ্রাস পাওয়ায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে খাদ্য ও ওষুধসংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো দ্রুত ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। একইভাবে শিপিং এজেন্টের জরিমানা করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মওকুফের অনুরোধও করেছেন তারা। বর্তমানে বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ রয়েছে বিপুলসংখ্যক কনটেইনারবাহী জাহাজ। কনটেইনারজট সৃষ্টি হওয়ায় জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো যাচ্ছে না। ফলে একেকটি জাহাজকে বন্দরে ছয় থেকে সাত দিন বেশি থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিনই ফিক্সড অপারেটিং কস্ট বাবদ বড় অঙ্কের মাশুল দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। করোনাভাইরাসজনিত দুর্যোগ সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখার জন্য সরকার যত্নবান হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর