শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘরেই পড়ুন তারাবি

করোনার ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক থাকুন

মাহে রমজানের চাঁদ দেখার রাতেই রোজাদাররা আদায় করেন তারাবি নামাজ। পুরো রোজার মাসে রাতে ৮, ১২ কিংবা ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করা হয়। তারাবি সুন্নাত নামাজ হলেও সাধারণত জামাতে এ নামাজ আদায় করেন দেশ-বিদেশের সিংহভাগ রোজাদার। কিন্তু এ বছর দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসের থাবা বিস্তৃত হওয়ায় মক্কা, মদিনা ও জেরুজালেমের তিন পবিত্র মসজিদেও মুসল্লিদের আগমন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। মক্কা-মদিনাসহ দুনিয়াজুড়ে মসজিদের বদলে ঘরে তারাবি নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নফল ইবাদত ঘরে আদায় করতে পরামর্শ দিয়েছেন। আমাদের দেশে তারাবি নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় অনেকটাই ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ বছরকে স্বাভাবিক সময় ভাবার অবকাশ নেই। দুনিয়াজুড়ে মাত্র তিন মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। আক্রান্তের সংখ্যাও ২৬ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ দুনিয়াজুড়েই করোনা শনাক্তের সুযোগ সীমিত। আমাদের দেশে এ-সংক্রান্ত সুবিধা খুবই সীমাবদ্ধ। ফলে মৃত্যু ও আক্রান্তের যে সংখ্যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে উল্লেখ করা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এই বিশেষ পরিস্থিতিতে সর্বসাধারণকে নিজ নিজ বাসস্থানে তারাবিসহ সব ধরনের ইবাদত-বন্দেগি সম্পন্ন করার জন্য মক্কা-মদিনার ফকিহরা নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার হ্রাস না পাওয়ায় সরকার অতি সীমিতভাবে জুমা ও জামাত চালু রেখে সর্বসাধারণকে ঘরে নামাজ আদায়ের নির্দেশনার পর রমজানেও তারাবি নামাজ ঘরে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশের বিশিষ্ট ওলামা ও মুফতিদের প্রদত্ত ফতোয়ায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ মুসল্লিদের ফরজ নামাজ ঘরে আদায়ের অবকাশ দেওয়া হয়েছে। এর আলোকেই সরকারের পক্ষ থেকেও তারাবির সুন্নাত নামাজ ঘরে পড়ার জন্য সর্বসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা আশা করব, রোজাদাররা ঘরে বসে তারাবিসহ সব ইবাদত করবেন এবং আল্লাহর কাছে মুসিবতমুক্তির জন্য মোনাজাত করবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর