মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধ

অপরাধীদের নখর ভাঙতে হবে

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রিত দুঃসময়ে সারা দুনিয়ার মতো আমাদের দেশেও অপরাধের মাত্রা লক্ষণীয়ভাবে কমেছে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সাইবার ক্রাইম ও চাল চোরের দল। চাল চোরদের বিরুদ্ধে সরকার ও সাধারণ মানুষ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় তারা যে ভালো নেই তার প্রমাণ প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় ধরা পড়ছে। কালোবাজারে চাল বিক্রির আভাস পেয়ে সাধারণ মানুষ চাল লুট করে প্রতিশোধ নিচ্ছে। করোনার সময়ে ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পেয়েছে সাইবার ক্রাইম। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে লোকজন ঘরে বন্দী থাকায় হাতে রয়েছে অফুরন্ত সময়। কেউ কেউ এটাকে অপব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাকিং, সাইবার বুলিং, গুজব রটানোসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। যে কারণে করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সাইবার অপরাধ বেড়েছে। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় অনলাইন বেচাকেনা বেড়েছে বহুগুণ। লোকজন তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর লেনদেন করছে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এটাকে পুঁজি করে অপরাধে জড়িত হয়েছে অপরাধীরা। তাই এ সময় প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিক অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাভাবিকভাবে। এ অবস্থায় অনলাইন কেনাকাটায় আরও সতর্ক থাকতে হবে। করোনা নিয়ে গুজব রটনা, কথিত ভ্যাকসিনের কথা বলে প্রতারণা, সহিংস উগ্রবাদ, সাইবার বুলিং, মিথ্যা সংবাদ প্রচারসহ এ-সংক্রান্ত অপরাধও বেড়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। একই সঙ্গে বেড়েছে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নারীদের হয়রানির ঘটনা। সাইবার অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। বিশেষত গুজব সৃষ্টির ঘটনা মানুষের মনোবলে আঘাত হানছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো মানুষের মনোবল। সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত মানুষবেশী ‘নর্দমার কীটরা’ সে মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। জনস্বার্থে সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। শক্ত হাতে ভেঙে দিতে হবে অপরাধীদের নখর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর