বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

জনশক্তি রপ্তানিতে অচলাবস্থা

গভীর সংকটের আলামত

দেশজুড়ে লকডাউন ও দুনিয়াজুড়ে বিমান যোগাযোগ প্রায় বন্ধ থাকায় দেড় লাখ প্রবাসী আটকা পড়েছেন। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভিসা এবং কাজ পেয়েও হাজার হাজার কর্মীর পক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনিতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে কয়েক লাখ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। ফলে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে এ বছর বড় ধরনের ধকলের সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ। দেড় লাখ প্রবাসী দেশে আটকা পড়ায় ক্ষতির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভিসা প্রস্তুত হওয়ার পরও প্রায় দেড় লাখ কর্মীর বিদেশে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই সময়ে যারা দেশে ফিরেছেন তাদের যাওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে। তবে করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তাদের মেয়াদ বাড়াতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেড় লাখ শ্রমিকের বিদেশ যাওয়া আটকে গেছে। প্রথমত, যাদের সমস্ত কার্যক্রম অর্থাৎ স্মার্টকার্ড, ইমিগ্রেশন, মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে তারা ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার কারণে যেতে পারছেন না। দ্বিতীয়ত, যাদের ভিসা সম্পন্ন হলেই যেতে পারবেন এমন অনেকে আটকা পড়েছেন। যেসব শ্রমিকের চাহিদা ইস্যু করা হয়েছে সেগুলোর প্রস্তুত থেমে আছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হলে জনশক্তি রপ্তানি খাত সচল রাখা সম্ভব হবে কিনা সে সম্পর্কে তারা সংশয় প্রকাশ করেছেন। করোনাভাইরাসে তেলের দামে ধস নামায় মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি শ্রমিকদের চাহিদা হ্রাস পেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম বৃহৎ খাত জনশক্তি রপ্তানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে যেতে পারে। বিশেষত বিদেশে কর্মরতদের ২০ শতাংশও যদি দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়, তবে অর্থনীতিতে বিসংবাদ সৃষ্টি করবে; যা মোকাবিলায় এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর