শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

হাসপাতাল লকডাউন

উপসর্গ গোপন করা অনৈতিক

অভিযোগ উঠেছে মানুষ হাসপাতাল কিংবা চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছেন না। চিকিৎসকরা যাতে করোনাবহির্ভূত রোগী দেখার ক্ষেত্রে অবহেলা না করেন, সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাগিদ সৃষ্টি করাও হয়েছে। চিকিৎসকদের রোগী দেখার ক্ষেত্রে অনীহা সৃষ্টির মূল কারণ অনেক রোগীর করোনা উপসর্গ গোপন রেখে চিকিৎসকের চেম্বার বা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা। যার পরিণতিতে সারা দেশে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের একজন মারাও গেছেন অসহায়ভাবে। সারা দেশে ৩৫৯ জন চিকিৎসক, ১৭৯ জন নার্স ও ২৯৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চিকিৎসাসংশ্লিষ্টদের মধ্যে। উপসর্গ গোপান রেখে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় লকডাউন করা হয়েছে হাসপাতালের প্যাথলজি, রেডিওলজি ও শিশু বিভাগ। হাসপাতালের ৪০ জন ডাক্তার, সাতজন নার্স ও ১০ জন স্বাস্থ্যকর্র্মী এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আরও ৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে। অভিন্ন কারণে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের গাইনি বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ লকডাউন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জেনারেল স্টোর, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অস্ত্রোপচার কক্ষ, কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট লকডাউন করা হয়েছে। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর মেডিসিন ইউনিট লকডাউন করা হয়েছে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায়। দেশজুড়ে রোগী থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন করে রোগী শনাক্তে স্ক্রিনিং চালাচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনাবিরোধী লড়াইয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ফ্রন্টলাইনের সৈনিক হিসেবে ভূমিকা রাখছেন। তাদের একাংশ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মতো বিপদ সৃষ্টি হয়েছে; যার উত্তরণে সতর্ক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর