সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সবকিছুতেই সিঙ্গাপুর! বাংলাদেশ কী করছে?

শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন

সবকিছুতেই সিঙ্গাপুর! বাংলাদেশ কী করছে?

কয়েক মাস ধরে সারা বিশ্ব করোনা তান্ডবে দিশাহারা। বাংলাদেশের অবস্থাও ভালো নয়। ভালো খারাপের দাঁড়িপাল্লা যেন পেন্ডুলামের মতো দুলছে! প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কাজ করছেন, যেভাবে তৎপর ও সক্রিয় হয়েছেন, সেটি দেখে আশাবাদী হই। তারপর যখন পত্রিকার প্রতিবেদনে ও টিভি স্ক্রিনে মাঠপর্যায়ের চরম অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা দেখি, তখন হতাশ হয়ে যাই। দিনে ও রাতে চক্রাকারে আশা ও নিরাশার দোলায় দুলতে থাকি। যখন শুনি যে, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভুটান ও মালদ্বীপ সফলতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে এবং কিছু দিনের মধ্যে তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে; তখন আনন্দিত হই, মনে মনে ভাবী তাহলে আমরাও একদিন উন্মুক্ত আকাশের নিচে মুক্ত বাতাসে লাল কৃষ্ণচূড়া দেখতে পারব। আবার যখন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেনের খবর পাই, যে রাষ্ট্রগুলো তাদের শৈথিল্য ও রাষ্ট্রনায়কদের দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের কারণে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে, তখন হতাশ হয়ে যাই। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভুটান ও মালদ্বীপকে বাদ দিয়ে ঈষৎ শ্লাঘার সঙ্গে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো, তখন রীতিমতো আঁতকে উঠি।

দুই. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেছে-‘টেস্ট টেস্ট অ্যান্ড টেস্ট’। অথচ বাংলাদেশে প্রতি মিলিয়নে কভিড-১৯ শনাক্তকরণের যে পরীক্ষা হচ্ছে সেটি শুধু বিশ্ব মানদ-েই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও সর্বনিম্ন! যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন, ফারো আইল্যান্ড, কানাডা, আইসল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে প্রতি এক মিলিয়নে ১০ হাজার থেকে লক্ষাধিক পরীক্ষা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে গড়ে প্রতি মিলিয়ন বা ১০ লাখ মানুষের মধ্যে কভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে মাত্র ৮০ থেকে ২০০ জনের। বর্তমানে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৩১টি ল্যাবরেটরিতে কভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। একদিকে ৩১টি ল্যাবরেটরি ১৭ কোটি মানুষের দেশের জন্য অপ্রতুল, অন্যদিকে ল্যাবরেটরিগুলোর সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। উপরন্তু রয়েছে নমুনা সংগ্রহ নিয়ে অব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল পরীক্ষার পরে যে বিষয়টি উৎকণ্ঠার সেটি হচ্ছে, করোনাভাইরাসের গতিপ্রকৃতি ও সংক্রমণের হার বাড়া কমার সময় নির্ধারণের জন্য গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে যে প্রক্ষেপণটি তৈরি করার কথা ছিল, সেটি এখনো তৈরি করা হয়নি। দেশে গবেষণার মাধ্যমে এ ধরনের সংক্রামক ব্যাধির গতিপ্রকৃতি নিরূপণ ও নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) ও ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ)। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, সরকারের এই ৩টি প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কভিড-১৯ সংক্রমণের শীর্ষবিন্দুতে কবে পৌঁছবে সে ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। বিদ্যমান তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রত্যেক দেশই একটি প্রক্ষেপণ তৈরি করে এবং ওই প্রক্ষেপণের ভিত্তিতে সরকার তার ‘অ্যাকশন প্ল্যান’, কর্মপদ্ধতি, বা করোনা-যুদ্ধের রূপরেখা তৈরি করে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আইইডিসিআর, নিপসম ও আইএইচপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রক্ষেপণ তৈরি করেনি বা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সামষ্টিক উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারের উদ্যোগে এমন কোনো প্রক্ষেপণ তৈরি হয়নি (দৈনিক বণিক বার্তা, ১৮ এপ্রিল, ২০২০)। ফলে বাংলাদেশের তরফে করোনাতান্ডব মোকাবিলার কোনো সমন্বিত ও সামগ্রিক ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ দৃশ্যমান হচ্ছে না।

তিন. দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বা বিশ্ববিদ্যালয় নয়; সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন (এসইউটিডি)-এর ডাটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকদের গবেষণা থেকে আমরা বাংলাদেশের অবস্থা জানতে পারলাম। এসইউটিডি ডাটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাব ২৬ এপ্রিল তাদের ওয়েবসাইটে ১৩১ দেশের করোনাবিষয়ক তথ্য তুলে ধরে। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এ ধরনের পূর্বাভাস এটিই প্রথম। করোনাভাইরাস বিস্তারের ধরন, মানবদেহে এর ক্ষতিকর প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য সব মিলিয়ে গবেষকরা এ আভাস দিয়েছেন।

তাদের তথ্যমতে, মে মাসে ৯৯ শতাংশ কমে গেলেও বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত লাগতে পারে। বিশ্ব থেকে করোনা ৯৭ শতাংশ কমতে পারে ২৯ মের মধ্যে এবং পুরোপুরিভাবে বিদায় নিতে পারে আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। এসইউটিডি ডাটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে এ ভাইরাসটি ১৭ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ এবং ৩০ মের মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হতে পারে। তাহলে এখন এ প্রশ্ন কি করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কেন কোনো গবেষণা করে বাংলাদেশের অবস্থা জানাতে পারল না? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে আইইডিসিআর, নিপসম ও আইএইচপি-এর কি প্রক্ষেপণ তৈরি করে করোনা-প্রতিরোধে বাংলাদেশের কর্মকৌশল নির্ধারণ করা উচিত ছিল না? বাংলাদেশের কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় কেন সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গবেষণা করে একটি পূর্বাভাস দিতে পারল না? বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কী সেই সক্ষমতা নেই? নাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সেই সক্ষমতা গড়ে তোলা হয়নি?

আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, জিডিপির হিসেবে জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের বাজেট বরাদ্দ সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন, এমন কী পাকিস্তানের চেয়েও কম! জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হওয়ার প্রাথমিক স্বীকৃতি পেলেও বাংলাদেশকে আমলাতান্ত্রিক ও পুলিশি রাষ্ট্র বানানোর যে চেষ্টা চলছে, তাতে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও মৌলিক গবেষণায় গুরুত্ব নেই, বাজেট বরাদ্দও নেই। উদাহরণ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-উপাত্ত বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।

গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রের তরফে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়, তার পরিমাণ ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা। এই বাজেটের ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ চলে যায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনের জন্য, অবকাঠামো মেরামত ও সংস্কারের জন্য ব্যয় হয় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর মোট বাজেটের ১০ থেকে ১২ শতাংশ বা তারও কম থাকে গবেষণার জন্য। শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও অভিভাবকদের একটি বড় অংশই শুধু নয়, নীতিনির্ধারকদের বেশির ভাগই বোঝেন না যে, বিশ্ববিদ্যালয় মানে শুধু টিচিং নয়। ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান এবং পাঠদান শেষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানের চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে গবেষণা।  দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। (তবে আমি আদর্শভিত্তিক শিক্ষক রাজনীতি ও ছাত্ররাজনীতির একনিষ্ঠ সমর্থক)। অন্যদিকে, গবেষণার জন্য নেই কোনো বরাদ্দ। কলা ও সামাজবিজ্ঞানের গবেষণায়ই তো অনেক অর্থ প্রয়োজন হয় আর বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের গবেষণায় বিভিন্ন দেশের ভালো বিশ্ববিদ্যায়গুলো মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে থাকে।

চার. গত বছর বাংলাদেশের বাজেটের সাইজ ছিল পাঁচ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা; অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হলো মাত্র সাড়ে সাতশ কোটি টাকা! প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে যদি শুধু গবেষণার জন্য এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া না হয়, তাহলে মানসম্পন্ন গবেষণা হবে কী করে?

অবকাঠামো, ল্যাবরেটরি, প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ও দক্ষ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যদি বিশ্বমানের গবেষণা সক্ষমতা গড়ে তোলা না হয়, তাহলে চিকিৎসার জন্য আমাদের অনেকে যেমন ৭২০ বর্গ কিলোমিটার ও ৫৬ লাখ মানুষের দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে চলে যান, তেমনি বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বা অন্য কোনো সংকটের বিশ্লেষণ জানার জন্য আমাদের তীর্থের কাকের মতো সিঙ্গাপুর বা অন্য কোনো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।  ১৯৬৫ সালের দিকেও সিঙ্গাপুর ছিল একটি জেলেপল্লী। তিন দশকে লি কুয়ান ইউর পরিপক্ব, গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ছোট্ট এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি অনুন্নত ও মান্ধাতার আমলের জেলেদের গ্রাম থেকে উন্নত দেশের কাতারে উঠে এসেছে। আমাদের মন্ত্রী, এমপি ও বিত্তশালীরা লাজ-লজ্জা, দেশপ্রেম, আত্মসম্মান সব ভুলে চিকিৎসা, বিনোদন বা শপিংয়ের জন্য এই ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রে ছুটে যান। কিন্তু একবারও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা মানসম্পন্ন করার কথা চিন্তা করেন না। কয়েক দশক আগেও মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসত, এখন আমাদের শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া যায় বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য।

মোদ্দা কথা হচ্ছে, যে উন্নয়ন দেশে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলে না; বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল দেয় না, গড়ে তোলে না বিশ্বমানের গবেষণা অবকাঠামো ও ল্যাবরেটরি; সেই উন্নয়ন কীভাবে জনগণের মৌলিক প্রয়োজন মেটাবে? সেই উন্নয়ন কীভাবে সংকটের সময় দেশ ও জাতিকে রক্ষা করবে? পাঁচ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে, দুই লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ, কোটি কোটি টাকার ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বা গুদামে, পাপিয়াচার ও ক্যাসিনোকান্ডে হাজার হাজার কোটি টাকা আকাশে বাতাসে উড়ছে, অথচ গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই! এটা সর্বজনস্বীকৃত যে, গত ৭/৮ বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা কারণে শিক্ষার মানে ধস নেমেছে। আরেকটি বড় ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের, সেটি হচ্ছে- আমলা ও পুলিশের সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতা দেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রছাত্রীরা এখন বিসিএস পুলিশ বা অ্যাডমিন ক্যাডারে চাকরি পাওয়ার জন্য রীতিমতো ‘ক্রেজি’। তারা বিজ্ঞানী হতে চায় না, তারা গবেষক, শিক্ষক, বা পন্ডিত হতে চায় না। আজ করোনাতা-বের সময়ে সারা বিশ্ব লড়াই করছে বিশেষজ্ঞ, গবেষক, চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিশিয়ানদের নেতৃত্বে। অথচ বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ, গবেষক, চিকিৎসক, মেধাবী ও পন্ডিতদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা যেমন নেই; তেমনি নেই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সম্মানও।

                লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সর্বশেষ খবর