মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যাংকের সুদ স্থগিত

সচল হোক উৎপাদনব্যবস্থা

কভিড-১৯ সংক্রমণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা চলছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে অধিকাংশ শিল্পকারখানার চাকা। যেগুলো প্রয়োজনে চালু রয়েছে সেগুলোও ভুগছে সীমাহীন সমস্যায়। সোজা কথায় কভিড-১৯-এর অপপ্রভাবে গত দেড় মাসে দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা নজিরবিহীন। এমনকি হরতাল-অবরোধ, আগুনসন্ত্রাসেও এতটা বিপাকে পড়েনি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। ফলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংক সুদ যাতে মওকুফ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না জানানো হলেও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপর্যয় ঠেকাতে আগামী দুই মাসের জন্য সব ধরনের ব্যাংক ঋণের সুদ আদায় স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে। ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়াসকে সহায়তা করবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কভিড-১৯-এর প্রভাব হয়তো শিগগিরই কাটবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী এর প্রভাব দীর্ঘায়িত হতে পারে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে অন্তত ব্যাংকের দিক থেকে আসা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কমল। তারা প্রধানমন্ত্রী-ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়ন ও আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদ মওকুফের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। এটি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকসান কমিয়ে শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। করোনা সংক্রমণ সংকটে কলকারখানার চাকা বন্ধ করাকে আত্মঘাতী বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। কারণ এর ফলে বেশির ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। বিপর্যয় না চাইলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে উৎপাদন ও পরিবহনব্যবস্থা সচলের উদ্যোগ নেওয়াই হবে যথার্থ। এর অন্যথা হলে দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, যা কাম্য হওয়া উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর