বুধবার, ৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার ওষুধ উৎপাদন

আক্রান্তদের জন্য সুখবর

করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ হিসেবে মার্কিন ঔষধ প্রশাসনের অনুমতি পেয়েছে ‘রেমডেসিভির’। করোনায় আক্রান্তদের জন্য ওষুধটিকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশেও চলতি মাস থেকেই উৎপাদন হবে রেমডেসিভির। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর এ ওষুধ উৎপাদনে বেক্সিমকো, বীকন, এসকেএফ, ইন্সেপ্টা, স্কয়ার ও হেলথ কেয়ারকে অনুমতি দিয়েছে। এটি দেশে উৎপাদন হলে করোনাকালীন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় তা ব্যবহার করা সম্ভব হবে। রেমডেসিভির একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ। ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি কমায় এ ওষুধ। রেমডেসিভিরের প্রধান কাজ হলো মানবকোষে ঢোকার পর ভাইরাস যে বংশবৃদ্ধি করে তা বন্ধ করে দেওয়া ও বংশবৃদ্ধির গতি কমানো। সাধারণত করোনাভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে ভাইরাল আরএনএ ডিপেনডেন্ট আরএনএ পলিমারেজ এনজাইম প্রয়োজন। রেমডেসিভির এই এনজাইমকে ব্লক করে। ফলে ভাইরাসের বিস্তার হ্রাস পায়। বংশবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় আক্রান্ত রোগীর দেহে ভাইরাস লোড কমে যায়। ফলে তাদের হাসপাতালে অপেক্ষাকৃত কম দিন অবস্থান করতে হয়। চিকিৎসকদের মতে, করোনাভাইরাস মানুষের ফুসফুসের কোষে ঢোকার পর কোষের বংশবৃদ্ধির উপাদানগুলো অকার্যকর করে নিজেদের বংশ বৃদ্ধি করে। একটা ভাইরাস মুহূর্তেই লাখো ভাইরাসের জন্ম দেয়। একসময় এই ছোট ছোট ভাইরাস কোষকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে বের হয় এবং পাশের নতুন একটি কোষকে আক্রমণ করে, তারপর আবার বংশ বৃদ্ধি করতে থাকে। এভাবেই করোনাভাইরাস ফুসফুসকে ধ্বংস করে মাত্র কয়েক দিনে। আর তাই রোগী শ্বাস নিতে পারে না।

করোনাভাইরাস ঠেকাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রতিষেধক; যা এই ভয়াবহতম ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে। দ্বিতীয়ত, এ এমন একটি কার্যকর ওষুধ যা আক্রান্তদের নিরাময় নিশ্চিত করবে। রেমডেসিভিরকে ওই তালিকায় ফেলার অবকাশ নেই। তার পরও এ মুহূর্তে এটি যেহেতু করোনাভাইরাসবিরোধী লড়াইয়ের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র, সেহেতু দেশের ছয়টি ওষুধ কোম্পানিতে তার উৎপাদন শুরুর অনুমতি স্বস্তিদায়ক ঘটনা। এর ফলে করোনায় ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার আগে অথবা সূচনালগ্নে ওষুধটি ব্যবহারের সুযোগ মিলবে। রোগীদের জীবন বাঁচাতে তা অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর