শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা

এ প্রবণতা বিপজ্জনক

অনানুষ্ঠানিকভাবে লকডাউনে কিছুটা শিথিলতা দিতে না দিতেই স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার মচ্ছব শুরু হয়েছে। গণপরিবহন না চললেও সড়কগুলোয় প্রাইভেট কারের ভিড় বেড়েছে বিপুলভাবে। বাজারগুলোয় ভিড় এতটাই জমে উঠেছে যে, তা বিপজ্জনক বলে অভিহিত করলেও কম বলা হবে। বাস্তবতার কারণে সরকার কিছু কিছু কলকারখানা, প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হলো বিপণিবিতান ও শপিং মল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। যেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় বিভিন্ন শপিং মল ও বিপণিবিতান কর্তৃপক্ষ নিজেরাই তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী মার্কেট ও শপিং মল খোলার জন্য মালিক সমিতির আবেদন-নিবেদনের দোহাই পেরেছেন। গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে স্পুটনিক গতিতে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে যানবাহন ও মানুষের চলাচলও বাড়ছে। ঢাকার সড়ক-মহাসড়কে শুধু গণপরিবহন ছাড়া স্বাভাবিক দিনের মতোই সব ধরনের গাড়ি চলছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিন দিন বাড়ছে সাধারণ মানুষের ঢাকায় প্রবেশ এবং বের হওয়া। গণপরিবহন না থাকায় সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি ও চুক্তিভিত্তিক ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার করছেন অনেকে। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লায়ও খুলছে দোকানপাট। কেউ কোথাও কোনো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার পয়েন্টসহ বিভিন্ন সড়কে প্রচুর গাড়ি থাকায় যানজটও তৈরি হয়। সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক, রিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মিনি ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনই চলতে দেখা গেছে।  এ ছাড়া বিজয় সরণি সিগন্যালেও যানজট দেখা গেছে। প্রতিটি গাড়িকে ৫-৭ মিনিট সিগন্যালে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে এসব সড়কে চলাচলে পুলিশকে তল্লাশি করতে দেখা যায়নি। অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলেছে যানবাহনগুলো। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামীকাল রবিবার থেকে মার্কেট ও শপিং মল খুলে দেওয়া হলে সংক্রমণ রোধের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বাস্থ্যবিধি ভেস্তে যাবে। আমরা নীতিগতভাবে অর্থনীতির সব খাত ক্রমান্বয়ে সচল করার পক্ষে। কিন্তু সবকিছু করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। যথাসম্ভব ঝুঁকি এড়িয়ে। কোনোভাবেই মানুষের জীবনকে তুচ্ছভাবে দেখা উচিত হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর