শিরোনাম
রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাকালেও মাদক পাচার

আখড়াগুলোয় আঘাত হানুন

করোনাভাইরাস দেশের কয়েক কোটি মানুষের জন্য অভিশাপ হিসেবে আবির্ভূত হলেও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে এসেছে আশীর্বাদ হিসেবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই যখন করোনাভাইরাস ঠেকানোর কঠিন কর্মকান্ডে ব্যস্ত, তখন মাদক কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে নানাভাবে। লকডাউনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের নেশাদ্রব্য পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এদের কেউ অ্যাম্বুলেন্স আবার কেউ পণ্যবাহী ট্রাকে করে মাদক পাচার করছে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে কয়েকটি চালান ধরাও পড়েছে। গত এপ্রিলে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা, ৩০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন একজন। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল কক্সবাজার লিঙ্ক রোড থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাচারের সময় ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ৭ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি রাস্তার মাথা এলাকা থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করে ডিবি। ৮ এপ্রিল শহরের নুনিয়াছড়া থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ তিনজনকে আটক করে ডিবি। ১৭ এপ্রিল ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশ। ১৯ এপ্রিল টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের গোলার চর এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন জাফর আলম নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ২ লাখ পিস ইয়াবাসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। করোনাভাইরাস সংক্রমণে দেশে যখন লকডাউন চলছে তখন সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াতে বাধা নেই। করোনাভাইরাসের ভয়ে অ্যাম্বুলেন্সের যাতায়াতকেও সাধারণ মানুষ এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দেখেন ভীতির চোখে। মাদক পাচারকারীরা অনেক সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বহনের ভান করে নির্বিঘ্নে মাদক পাচার করছে। মাদক পাচার বন্ধে মাদক বেচাকেনার আখড়া-গুলোর ওপরও আঘাত হানতে হবে। মহাসড়কগুলোয় অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের ওপর রাখতে হবে তীক্ষè নজর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর