রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলছে না মার্কেট শপিং মল

সবার জন্য স্বস্তিদায়ক

ঈদের আগে রাজধানীর কোনো বড় বিপণিবিতান বা শপিং মল খুলছে না। সরকারের পক্ষ থেকে আজ রবিবার ঢাকার সব মার্কেট ও শপিং মল খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা এতে সায় দেবেন না। কারণ ব্যবসায়ীরা চেয়েছিলেন রোজার শুরুর দিকেই দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। যাতে ভিড় এড়িয়ে মানুষ ঈদের কেনাকাটা করার সুযোগ পায়। অর্ধেক রোজার পর দোকান খোলার যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে দোকান খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে সময় লাগবে অন্তত পাঁচ দিন। ঈদের আগে বেচাকেনার জন্য পাওয়া যাবে বড়জোর এক সপ্তাহ। এ সময় যে ভিড় হবে তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ঈদের আগে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বড় দুই শপিং মল বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক। তাদের দেখাদেখি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি। ঈদের আগে খুলছে না বায়তুল মোকাররম মার্কেট। রাজধানীর মৌচাক, আনারকলি মার্কেটও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। না খোলার এ তালিকায় আরও আছে রাজধানীর বঙ্গবাজার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, জাকির প্লাজা, গুলিস্তান পুরান বাজার, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা ও বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেট। ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ- যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা মেনে দোকান চালানো সম্ভব নয়। বেশির ভাগ মানুষ ঈদের শপিং করে ইফতারের পর, অথচ দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ফলে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের কোনো লাভ হবে না। ঈদের আগে বড় মার্কেট ও শপিং মলগুলো না খোলার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের হার যখন ক্রমে বেড়ে চলেছে তখন অপরিকল্পিতভাবে মার্কেট ও শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক। মালিক সমিতি বড় বড় মার্কেট ও শপিং মল না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ঈদের কেনাকাটার সময় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমবে। ঈদে লাখ লাখ মানুষের পকেটে অর্থ না থাকায় মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ভুক্তভোগীদের উদ্বেগ কিছুটা হলেও কমাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর