বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মার্কেটে নেই স্বাস্থ্যবিধি

মসজিদে শৃঙ্খলার অনন্য নজির

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে এমন শর্তে সরকার সারা দেশের মার্কেটগুলো খুলে দিয়েছিল। খুলে দেওয়া হয়েছিল মসজিদ। কিন্তু দেশের কোনো মার্কেটেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ইতিমধ্যে এ অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবাজার। কিন্তু বাস্তবে সব মার্কেটেই স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে ঈদের কেনাকাটা। প্রিয়জনের জন্য পোশাক কেনার বদলে অনেকে ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন করোনার বিষ। মসজিদগুলোর ব্যাপার ঠিক একেবারে আলাদা। স্বাস্থ্যবিধি মানার ১৩টি শর্তে মসজিদের জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়েছিলেন আল্লামা আহমদ শফীসহ দেশের শীর্ষ আলেমরা। তাদের সে আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার থেকে মুসল্লিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মসজিদের দ্বার। গত এক সপ্তাহে দেশের কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ভঙের অভিযোগ ওঠেনি কোনো মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কিন্তু মার্কেটগুলোতে ঘটেছে ঠিক বিপরীত ঘটনা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাজধানীর মার্কেট খুলে দিতেই শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটার ধুম। স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করেই ধাক্কাধাক্কি করে চলছে কে আগে কিনতে পারে সে প্রতিযোগিতা। ক্রেতাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত শ্রেণির। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তারা ঘুরছেন এ দোকান থেকে সে দোকান। মঙ্গলবার ইসলামপুর নবাববাড়ি মার্কেটের দোকানগুলোতে ছিল ক্রেতাদের ঢল। ধাক্কাধাক্কি করে কেনাকাটা করেছে ক্রেতারা। ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব মানেননি কেউ। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। ক্রেতাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত। করোনা সংক্রমণে খেতে পাচ্ছে না অনেক মানুষ। রাস্তায় সাহায্যপ্রার্থী মানুষের ভিড়। বিতরণের জন্য সরকারি ত্রাণ রাস্তা থেকে লুট করে নিচ্ছে ক্ষুধার্তরা। এসব কিছুকে পাশ কাটিয়ে অনেকেই মনোযোগ দিয়েছেন ঈদের পোশাক কেনায়। সারা দেশের যে সব মার্কেটে ঈদের বেচাকেনা চলছে, সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিই বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষত আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যখন আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে তখন মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত যে আত্মঘাতী তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। এ বিষয়ে সরকার নজর দেবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর