মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

জটের কবলে চট্টগ্রাম বন্দর

সবারই দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য

কনটেইনার জটের দুর্ভোগ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কিছুতেই রেহাই পাচ্ছে না। করোনার ধাক্কা সামলে চট্টগ্রাম বন্দরকে জাহাজ ও কনটেইনার জটমুক্ত রাখতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন উদ্যোগ তার সুফল হিসাবে গত তিন সপ্তাহ ধরে ইতিবাচক ফলও পেয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ও লকডাউনে মার্চের শুরুতে বন্দরে দেখা দেয় ভয়াবহ কনটেইনার জট। এপ্রিলে কনটেইনারের সঙ্গে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে যুক্ত হয় জাহাজ জটও। এ অবস্থায় কনটেইনারের গুদাম ভাড়া শতভাগ মওকুফ এবং অফ ডকে সব ধরনের আমদানিপণ্যের কনটেইনার খালাসের সুযোগ দেওয়ায় জাহাজ ও কনটেইনার জট কিছুটা কমে এসেছিল। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী কনটেইনার ডেলিভারি না হওয়ায় প্রত্যাশা অনুযায়ী জট কমেনি। মার্চ-এপ্রিলের চেয়ে বর্তমানে আমদানির পরিমাণ বাড়ায় জট আরও জটিল হয়ে ওঠার উপক্রম হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ৪৯ হাজার ২০০ টিইইউস কনটেইনার ধারণক্ষমতার স্থলে রবিবার কনটেইনার ছিল ৪৩ হাজার টিইইউস। এতে দু-এক দিনের মধ্যে আবারও কনটেইনার জট তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্দরের বহির্নোঙরে গত রবিবার পর্যন্ত ৪০টি কনটেইনারবাহী জাহাজসহ ৮৮টি জাহাজ অবস্থান করছে। বার্থিংয়ে কনটেইনার খালাসের জন্য ছিল ১২টি জাহাজ। করোনাজনিত অচলাবস্থায় গত মাসে সবচেয়ে কম কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও ডেলিভারি হয়। তবে গত মাসের শেষের দিকে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতে থাকে। জট নিরসনে কর্তৃপক্ষের নানামুখী পদক্ষেপে সুফল দেখা দিলেও গত কয়েক দিন আমদানিপণ্যের কনটেইনার জমা হওয়া এবং সে অনুপাতে পুরনো কনটেইনার ডেলিভারি না হওয়ায় আবারও জাহাজ ও কনটেইনার জট দেখা দিয়েছে। এ দুই জটে আবারও অচলাবস্থায় পড়তে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। কনটেইনার ও জাহাজ জট কমাতে ব্যবসায়ীদের বন্দর স্টোর চার্জ বাবদ মওকুফ করা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অফ ডকে কনটেইনার ডেলিভারির সুযোগসহ আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারপরও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি, তাদের কারণেই সংকট বাড়ছে।

এক্ষেত্রে সবারই দায়িত্বশীল মনোভাব কাম্য।

সর্বশেষ খবর