বুধবার, ২০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার আগ্রাসন বাড়ছে

লকডাউন জোরদার করুন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সরকারি হিসাবে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃতের হার এর দ্বিগুণ বা তারও বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চললেও একশ্রেণির কা-জ্ঞানহীন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে মৃত্যুর ফেরিওয়ালা হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। তারা মার্কেটিং ও গ্রামের বাড়িতে ঈদ কিংবা ছুটি কাটানোর জন্য গণপরিবহন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও নানা কৌশলে ঘরমুখী হওয়ায় সোমবার দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরিতে মানুষের এমনই উপচে পড়া ভিড় জমে ওঠে যে তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। বাংলাদেশে চলমান সাধারণ ছুটি বাড়ানোর কথা জানিয়ে গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তাতে বলা হয়েছিল- ছুটির মধ্যে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। প্রতি বছরের মতো ঈদের আগে মানুষের বাড়ি যাওয়াকে নিরুৎসাহিত করতেই নেওয়া হয়েছিল ওই সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা থেমে নেই।

এ অবস্থা মোকাবিলায় ঢাকায় জরুরি অবস্থা জারি এবং ঢাকায় আসা-যাওয়ার সব রাস্তায় কঠোরতা আরও বাড়ানো জরুরি হয়ে উঠেছে। সোমবারও বিপুলসংখ্যক লোক ঢাকা ছেড়ে গেছেন এবং ঢাকায় প্রবেশও করেছেন।

বিভিন্ন ফেরিঘাটে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। ঈদ উপলক্ষে যাতায়াত বাড়লে সর্বনাশের আর কিছু বাকি থাকবে না। শুধু ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরেও একইভাবে লকডাউন জারি রাখতে হবে। সুস্থ থাকতে চাইলে এ বছর যে যেখানে অবস্থান করছেন সেখানেই ঈদ করা হবে শ্রেয়। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে লকডাউনের বিকল্প নেই। লকডাউন নিশ্চিত করতে সরকার দুই মাসের বেশি সময় ধরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে করোনার আগ্রাসন থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু লকডাউন লঙ্ঘনের অপনায়করা সক্রিয় হয়ে ওঠায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত দুই-ই বাড়ছে। এ অবস্থায় ঢাকা ও মহানগরীগুলোর সঙ্গে বাইরের লোক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবতে হবে। হঠকারিতায় মেতে ওঠা কা-জ্ঞানশূন্য লোকজনকে যেভাবে হোক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর