সোমবার, ১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার মধ্যেও হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নটসের লড়াই

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

করোনার মধ্যেও হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নটসের লড়াই

কোথাও ভালো সংবাদ নেই। সব কিছু যেন কেমন হয়ে গেছে। সদিচ্ছায় ঘরবন্দী। হাউস অ্যারেস্টে থাকা মানুষের মনের অবস্থা কী হতে পারে সামান্য হলেও তার কিছু নিদারুণ অনুভূতি টের পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন আগে শ্রদ্ধাভাজন এবং আমাকে অনেক স্নেহ করেন এমন একজনের টেলিফোন এলো। বয়স প্রায় ৭৫ বছরের কাছাকাছি। বয়সজনিত টুকটাক কিছু সমস্যা থাকলেও বড় ধরনের কোনো অসুখ-বিসুখ নেই। অনেক কাছের মানুষ হলেও নানা কারণে অনেক দিন দেখাসাক্ষাৎ নেই। টেলিফোনে গলার স্বর শুনেই বুঝলাম তিনি ভালো নেই। বিষণ্ন সুরে বললেন, তোমাদের সঙ্গে হয়তো আর কোনো দিন দেখা হবে না। চমকে উঠে জানতে চাই, কেন কী হয়েছে। বললেন, ঘরবন্দী যন্ত্রণা সইতে না পেরে একদিন হয়তো ঘর থেকে বের হব। আর বৃদ্ধ মানুষকে সহজ টার্গেট হিসেবে করোনা দ্রুতই ধরে ফেলবে। এই বয়সে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে জিততে পারব না বলেই একটা বড় দীর্র্ঘশ্বাস ছাড়লেন। সাহস জোগাতে আমি বললাম, এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। একশ বছর বয়স ঊর্ধ্ব মানুষও করোনাকে পরাজিত করেছেন। আরও কিছু সাহস জাগানিয়া কথা বলে টেলিফোন রেখে দিই। কিন্তু টেলিফোনের অপর প্রান্তের কথাগুলো ভুলতে পারি না। বুঝতে পারছি না আবার কি সবকিছু আগের মতো হবে। বিশ্বের বড় বড় এক্সপার্ট বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদগণ বলছেন, তা হয়তো আর সম্ভব হবে না। আগের অন্য সব ভাইরাস, কলেরা, বসন্ত, সার্স, মার্স, ইবোলা কোনোটাই এত বেশি ছোঁয়াচে ও অপ্রতিরোধ্য ছিল না। বড় বড় শক্তিধর রাষ্ট্রসহ সব রাষ্ট্রই সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত, অসতর্ক এবং বিপজ্জনক আকস্মিকভাবে করোনার কাছে ধরা খেয়েছে। তবে আকস্মিকতা সম্পর্কে বড় বড় বুদ্ধিজীবী প্রশ্ন তুলেছেন। চীনের উহানে প্রথম করোনা ধরা পড়ার পর অন্য সব দেশ দুই মাস সময় পেয়েছে। দূরদৃষ্টি এবং সদিচ্ছা নিয়ে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিলে করোনা অপ্রতিরোধ্য রূপ ধারণ করতে পারত না বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তারপর ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া অসাধারণ সাফল্য দেখালেও আমেরিকার মতো সবদিক থেকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী দেশ কেন লাগাম টেনে ধরতে পারছে না তা নিয়ে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন। আমেরিকার মিডিয়া এবং বিশেষজ্ঞগণ সে দেশের নেতৃত্বের খামখেয়ালিপনা নিয়ে দারুণ হতাশ। বৈশ্বিক বাস্তবতায় বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে আজ দৈব্য দুর্বিপাক হোক আর মানুষ্য সৃষ্টি দুর্বিপাক হোক, বাংলাদেশে বসে ঘরের কপাট বন্ধ করে থাকলেও নিশ্চিন্ত ও নিরাপদে থাকার উপায় নেই। আমেরিকার কথাই ধরুন। আমেরিকা আজ এমন একটি দেশে পরিণত হয়েছে, সেখানে যা কিছুই ঘটুক তার প্রভাব পৃথিবীর সর্বত্র দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সামস্টিক পর্যায় তো আছেই। বিরূপ কিছু হলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এসেও সেটা আঘাত করে। ইতিমধ্যে প্রায় কয়েকশ বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় মারা গেছেন। ভেবে দেখুন, এদের স্বজন, মা-বাবা এত বড় বিপদে সেখানে গিয়ে একটু পাশে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারেননি। শেষ দেখাটিও হলো না। এ যন্ত্রণা ও ব্যথার কোনো বর্ণনা কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আমি নিজে শত চেষ্টা করেও দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখতে পারছি না। মেয়ে, জামাই, নাতি আমেরিকায় থাকে। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কেন এত অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলেন বুঝতে পারি না। আবার ভাবী খোদাতায়ালা তো মানুষকে সব ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই ক্ষমতা আজ গুটিকয়েক মানুষের হাতে কুক্ষিগত ও বন্দী। বিশ্বের শতকরা ৯৫ ভাগ সম্পদ মাত্র শতকরা ২৫ ভাগ মানুষের দখলে। তারাই সব কিছু করেন। বড় বড় সব এক্সপার্ট, চিন্তাবিদ ও বৃহত্তর মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে ট্রাম্প প্রশাসন লকডাউন তুলে নিয়ে সবকিছু খুলে দিচ্ছেন। ট্রাম্পের উপদেষ্টা, ইতিমধ্যে বিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠা ড. ফাউসি নিজের বস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রকাশ্যে বলেছেন, এত দ্রুত সব খুলে দিলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে। এখনো করোনার একমাত্র প্রতিষেধক লকডাউন অপরিপক্বভাবে তুলে নিলে মহাবিপদ হবে। নির্বাচন নভেম্বরে তার আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভ্যাকসিন বাজারে আনতে হবে। শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত অনেক গবেষক বিশেষজ্ঞ বলছেন, তাড়াহুড়া করে ভ্যাকসিন বাজারে আনলে সেটি করোনার চেয়েও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিছুদিন আগে সিএনএন টেলিভিশনে একজন গবেষক গ্রাফের মাধ্যমে দেখাচ্ছিলেন, এ পর্যন্ত যত ভ্যাকসিন এসেছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে যেটি এসেছে, সেটিরও সময় লেগেছে চার বছর।

লকডাউনের কারণে প্রায় চার কোটি লোক আমেরিকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে, এ কথা ঠিক। কিন্তু এই চার কোটি মানুষকে আরও কয়েক মাস পরিচর্যা করা বিকল্প পন্থায় কতটা অসম্ভব ছিল সেই প্রশ্ন খোদ আমেরিকার ভিতর থেকেই উঠেছে। একমাত্র চীনকে বাদ দিলে বিশ্বের সব দেশই আজ চরম পুঁজিবাদের সীমাহীন ধনলোভীদের কবলে। তাতে করোনার প্রাদুর্ভাবে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষের অসহায়ত্বের চিত্রটি আরও প্রকট আকারে ফুটে উঠেছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের কিছু সংখ্যক মানুষ যে পরিমাণ বিশাল সম্পদ বৈধ-অবৈধভাবে কুক্ষিগত বা আমি যদি শোভন ভাষায় বলি জমা বা মুনাফা করেছেন তার কিয়দাংশ যদি আজ করোনার বিপদে বেকার ও অর্থাভাবে পড়া মানুষের জন্য খরচ করত তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস লকডাউন থাকলেও কোনো অসুবিধা হতো না। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। দেশের মানুষের করের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে ওইসব ব্যবসায়ীকে প্রণোদনা হিসেবে দিতে হচ্ছে। এরাই ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিবেন, ফেরত দিবেন না। শেয়ারবাজার ও ব্যাংক যারা লুটপাট করে হাজার লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও সেখানে ধন-সম্পদ তৈরি করে আরামে বসে আছেন তাদের কথা প্রতিনিয়তই মিডিয়ায় আসছে। মন্তব্য প্রতিবেদন, কলাম, উপসম্পাদকীয় পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। জাতির এই দুঃসময়ে আজ তারা কোথায়। হয় সিঙ্গাপুর, নয়তো দুবাই, আর তা না হলে কানাডার বেগমপাড়ায় আরাম-আয়াশ করছেন। পুঁজির অবাধ ও লাগামহীন বিচরণে ক্ষমতার করিডর এবং পুঁজি নিয়ন্ত্রণকারী মাত্র শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষ আজ এক কাতারে, আর বাকি শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা আজ তাদের হাতে বন্দী। রাষ্ট্রও তাদের হাতে জিম্মি। হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নটসের লড়াইটা চিরদিন ছিল, আজও আছে। তবে করোনার ভয়াবহতায় তা আবার নগ্নভাবে মানুষের চোখে ধরা দিল। অবশ্য আজ আর এটাকে লড়াই বলা চলে না। কারণ, ব্যাপারটা এখন একতরফা। করোনায় যেমন মরছে, তেমনটি দু-দুটি বিশ্বযুদ্ধের সময়ও অকাতরে মানুষ মরেছে। যুদ্ধ বাধিয়েছে ওই ধনিক গোষ্ঠী এবং তাতে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের লাশের ওপর দিয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ীসহ বহু রকমীয় ব্যবসায়ী ব্যবসার নামে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের নামে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার কামিয়ে নিয়েছে। মানবিক এই মহাবিপর্যয়ের সময় চীন-মার্কিন বাগ্যুদ্ধটা অনুধাবন করলে বোঝা যায় বিষয়টি শুধু করোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে ২০৪৯ সালের মধ্যে তারাই বিশ্বের এক নম্বর শক্তিধর রাষ্ট্র হবে। করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং বিস্তার নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। চূড়ান্ত কথা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে এ পর্যন্ত যতটুকু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে এর উপত্তি ও বিস্তার রোধে চীন যথেষ্ট করেছে বলে কেউ মনে করেন না। চীনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে। আন্তর্জাতিক তদন্তে চীন রাজি হচ্ছে না। এটা দুর্ঘটনা, নাকি প্রকৃতিগত, নাকি ইচ্ছাকৃত, তিনটি দিকই গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্গে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এবং সক্ষমতায়ও আমেরিকা এখনো শ্রেষ্ঠ। এত গোয়েন্দা শক্তি থাকা সত্ত্বেও আমেরিকা কেন আগেভাগে সব টের পেল না, সেটাও এক বড় প্রশ্ন। যে দেশে প্রথম উৎপত্তি, সেই চীন দ্রুত এটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারলেও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশ আমেরিকা কেন এখনো লাগাম টেনে ধরতে পারছে না, সেটাও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না। চীন এখন বলতে পারবে তাদের রাষ্ট্রীয় শাসন পদ্ধতি ও স্টাইল, যেটিকে পশ্চিমা বিশ্বের লোকজন সব সময় গালমন্দ করে, সেটি মানুষকে রক্ষা করার জন্য অনেক বেশি উপযোগী এবং শক্তিশালী। করোনার মতো মানব শত্রুকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়, এ কথা সবাই বলেন। আমিও তার সঙ্গে এক মত। মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সব ধরনের ভাইরাস নিয়েই গবেষণা হতে পারে। কিন্তু প্রত্যেকটি শান্তিকামী মানুষ হতবাক হয়ে যায় যখন বড় বড় রাষ্ট্র এসব ভাইরাসকে ব্যবহার করে ভয়াবহ জীবাণু অস্ত্র তৈরি করেছে, যার নাম বায়োলজিক্যাল অস্ত্র। বাংলাদেশ শান্তিকামী রাষ্ট্র। কারও পক্ষে-বিপক্ষে আমরা নেই। কিন্তু বৈশ্বিক শক্তিধর রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব-প্রতিযোগিতার বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার কোনো উপায় নেই, যে কথা একটু আগেই আমার এই লেখার মধ্যেও উল্লেখ করেছি। তাই আমাদের বাঁচার উপায় আমাদেরই বের করতে হবে। তার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সীমাহীন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা। নাইজেরিয়ার মতো একটি তেলসমৃদ্ধ দেশ শুধু দুর্নীতি আর লুটপাটের জন্য আজ বিধ্বস্ত। অর্থনৈতিক সক্ষমতায় বাংলাদেশ আজ ঈর্ষণীয় জায়গায় পৌঁছেছে। কিন্তু সেবা খাতে সেবা প্রদানের তৃণমূল পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ এবং অসন্তুষ্ট। গত কয়েক বছরে স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অবিস্মরণীয়। মাত্র আট-দশ বছরে সরকারি খাতেই কয়েক ডজন বৃহৎ আকারের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হয়েছে। প্রাইভেট খাতেও উচ্চ মার্গের অনেক হাসপাতাল হয়েছে। কিন্তু তার মালিকদের করোনার সময়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিতে ওই ধনলোভী চরিত্রটি একেবারে নগ্নভাবে ধরা পড়েছে। মানুষ চিকিৎসা পাবে না, মরে যাবে তাতে এনাদের কিছু যায় আসে না। তাদের হাসপাতাল বানানোর একমাত্র লক্ষ্যই টাকা। এই সময়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ধরা পড়েছে, তা হলো যতই আমরা খোলাবাজার নীতির জয়গান করি না কেন, রাষ্ট্র ও মানুষের স্বার্থে সরকারি ঘাতকে শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন। করোনার থেকেও আরও বড় দুর্যোগ আগামীতে আসতে পারে। গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারি খাতের প্রসার শুধু নগরকেন্দ্রিক থাকেনি। গ্রামগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে হাজার হাজার। চিকিৎসা সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ খাতের সক্ষমতার ঘাটতি করোনার পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ধরা পড়েছে।

স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগী হতে হবে। বিশ্বের ধনসম্পদ যাদের হাতে তারাই সব সময় যেমন করেছেন, এখন এই করোনার সময়ও তারাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। করোনা নিয়েও তারা কোনো খেলা খেলছেন কিনা তা কে বলবে। তাই বৃহত্তর সাধারণ মানুষকে আরও অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। নিজের বাঁচা ও নিরাপত্তার জন্য স্বউদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরতে হবে। মনে রাখবেন, আমি, আপনি, আমরা এই শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষের বড় একটা অংশ মরে গেলে ওই ধনিক ও সম্পদলোভীদের কিছু যায় আসে না। হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নটসের লড়াইটা চলছে, চলবে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর