মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল

ব্যর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

করোনাকালে প্রকাশ পেয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময় জনমানবশূন্য ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। করোনোভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় লকডাউন থাকার পর গত রবিবার থেকে তা প্রত্যাহার করা হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। ফলে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা পরীক্ষার ফল জানতে পেরেছেন মোবাইলের মাধ্যমে। করোনাকালীন দুর্যোগের মধ্যে প্রকাশিত ফলাফলে পরীক্ষার্থীরা এবার আগের চেয়ে ভালো সাফল্য দেখিয়েছে। এ বছর সারা দেশের ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন। পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছর ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ জন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছিল ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন। পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২ শতাংশ। সে হিসাবে গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থী কমলেও বেড়েছে পাসের হার। ৩০ হাজার ৩০৪ জন বেশি পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। চলতি শিক্ষা বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা বেশি পাসের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮৪ দশমিক এক শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে উত্তীর্ণ ছাত্র ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ছাত্রদের চেয়ে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ ছাত্রী বেশি পাস করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দুঃসময়ে পেপারলেস পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ঘরে থেকে মোবাইল ফোনে ফল প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হয়। চলতি বছর শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২৩টি। অন্যদিকে ১০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শূন্য পাসের রেকর্ড স্থাপন করে সেগুলোর পেছনে জনগণের ট্যাক্সের টাকা ব্যয়ের বৈধতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে। আমরা আশা করব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যর্থ ও অযোগ্যদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। উত্তীর্ণ সব পরীক্ষার্থীর জন্য আমাদের শুভ কামনা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর