বুধবার, ৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

জনপ্রতিনিধিরা কোথায়?

প্রভাষ আমিন

জনপ্রতিনিধিরা কোথায়?

মানুষ রাজনীতি করে কেন? এ প্রশ্নের উত্তর একেকজনের কাছে একেকরকম হতে পারে। আমি যেটা বুঝি, জনগণের সেবা করার জন্য, জনগণের পাশে থাকার জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য, মানবতার কল্যাণের জন্য মানুষ রাজনীতি করে। আগে রাজনীতি করা মানুষ সম্পর্কে বলা হতো, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আগে রাজনীতি করা মানুষ সত্যি সত্যি দেশের জন্য, জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেন। এক সময় বাম রাজনীতি করা অনেকে পার্টির ফুলটাইমার হয়ে যেতেন। তারা সংসার করতেন না। তাদের জীবিকাও চলত পার্টির টাকায়। তখন জমিদার পরিবারের সদস্যরা রাজনীতি করতে এসে নিজের পরিবারের সদস্যদের শ্রেণি শত্রু বানিয়ে নিজে সর্বহারা হয়ে যেতেন। তখন রাজনীতি মানে ছিল নীতির রাজা। রাজনীতিবিদরা নীতির প্রশ্নে কখনো আপস করতেন না।

এখন দিন বদলে গেছে। এখন রাজনীতি হলো রাজা হওয়ার নীতি। এখন নিঃস্ব মানুষ রাজনীতি করে আধুনিক জমিদার বনে যান। উৎস জানি না, কিন্তু রাজনীতিবিদদের এখন অনেক টাকা। অথচ দৃশ্যমান কোনো পেশা তাদের নেই। আগে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিবিদদের চাঁদা দিতেন। এখন তারাও চালাক হয়ে গেছেন। চাঁদা দেওয়ার বদলে নিজেই রাজনীতিবিদ বনে গেছেন। এখন আর রাজনীতিবিদরা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান না। বরং বনের মোষ মেরে ঘরে খাবারের ব্যবস্থা করেন।

টাকা-পয়সা যাই হোক, প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এখনো রাজনীতি জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারাই। রাজনীতি করতে গেলে জনগণের সমর্থন লাগে, নেতা হতে গেলে জনগণের ভোট লাগে। তাই শেষ পর্যন্ত জনগণের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থাকেই। তবে ইদানীং বাংলাদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে যেভাবে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে, তাতে জনগণের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সম্পর্কের সুতোটাও আলগা হয়ে গেছে। দলের মনোনয়নটাই গুরুত্বপূর্ণ, জনগণের ভোটটা আর তত প্রয়োজনীয় নয় এখন।

এই পর্যন্ত পড়ে কেউ ভাবতে পারেন, আমি বুঝি একজন রাজনীতিবিমুখ মানুষ। ব্যাপারটা কিন্তু একদম উল্টো। আমি প্রবলভাবে রাজনীতিমুখী মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, সবচেয়ে খারাপ গণতন্ত্রও সবচেয়ে ভালো বিকল্প। ইদানীং আমাদের দেশে রাজনীতিবিমুখ একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। তাদের রাজনীতির কথা জিজ্ঞাসা করলেই রীতিমতো আঁতকে ওঠে, না না আমি, রাজনীতি করি না, রাজনীতি পছন্দও করি না। এটা খুব বিপজ্জনক প্রবণতা। কারণ শেষ পর্যন্ত দেশ চালাবে রাজনীতিবিদরাই। ধরুন ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্রটি মন দিয়ে পড়াশোনা করলেন, রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেন। আর খারাপ ছাত্রটি পড়াশোনা না করে রাজনীতি করলেন, মাস্তানি করলেন, চাঁদাবাজি করলেন। ধীরে ধীরে ভালো ছাত্রটি বিসিএস দিয়ে আমলা হলেন, সচিব হলেন। আর খারাপ ছাত্রটি নেতা হলেন, এমপি হলেন, মন্ত্রী হলেন। দুজন যদি একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিব হন; তাহলে মন্ত্রণালয় কার সিদ্ধান্তে চলবে? নীতিগত সিদ্ধান্ত কিন্তু রাজনীতি করা খারাপ ছাত্রটিই নেবেন, আর ভালো ছাত্রটি সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন। যদি মেধাবী, পরোপকারী, ভালো মানুষ, সৃষ্টিশীল, চিন্তাশীল মানুষেরা আরও বেশি রাজনীতিতে আসেন; তবে দেশ আরও ভালো চলবে। এটা খুব স্বাভাবিক। তাই দেশের ভালো চাইলে ভালো মানুষদের আরও বেশি রাজনীতিতে উৎসাহিত করতে হবে।

হঠাৎ করে রাজনীতি নিয়ে এত প্যাচালের কারণ করোনা। ভালো হোন, মন্দ; অতীতে যে কোনো বিপর্যয়ে রাজনীতিবিদরাই সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক, বিপদে মানুষ যাকে পাশে পায়, তাকেই বন্ধু মনে করে। ’৭০-এর ঘূর্ণিঝড়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার ফল পেয়েছিল হাতে হাতে। ’৭০-এর নির্বাচনে একতরফা জয়ের আরও অনেক কারণ আছে। তবে বিপদের সময় মানুষের পাশে থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের দলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এবার করোনাকালে মানুষ সেভাবে তাদের নেতাদের পাশে পায়নি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সুবিধা হলো সরকার থেকে স্থানীয় সরকার-ধাপে ধাপে জনপ্রতিনিধিরা থাকেন। মন্ত্রী-এমপিরা তো আছেনই। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ- সব পর্যায়েই মেয়র বা চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর বা সদস্যরা আছেন। পুরো ব্যবস্থাটা কাজ করলে তৃণমূল পর্যায়েও মানুষ ঘর থেকে বেরোলেই কোনো না কোনো জনপ্রতিনিধিদের দেখা পেয়ে যাওয়ার কথা। জনপ্রতিনিধিরা যদি সত্যিকার জনদরদি হন, সরকারের দেওয়া ত্রাণটা যদি ঠিকমতো সঠিক লোকটার হাতে পৌঁছায়, তাহলে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা পানির মতো সহজ। সরকারের ত্রাণ যদি নাও আসে, জনপ্রতিনিধিরা নিজস্ব উদ্যোগেই দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পারেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির এখন যে অবস্থা তাতে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক কম। ধরুন, একটা গ্রামে পাঁচটি পরিবার আছে, সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত। এখন সেই গ্রামের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কিন্তু চাইলে সরকারি সাহায্যের আশায় বসে না থেকে গ্রামের সম্পন্ন মানুষের সংগঠিত করে সেই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে পারেন। তাতে কারও ওপরই অনেক চাপ পড়বে না। বিত্তবানদের অল্প অল্প সাহায্যেই কিন্তু সেই গ্রামের পাঁচটি পরিবার বেঁচে থাকতে পারে। এভাবে যদি সব গ্রামের জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয় থাকেন, তবে কোনো দুর্যোগই বাংলাদেশকে কাবু করতে পারবে না। আর জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভবিষ্যতে জনপ্রতিনিধি হতে চান, এমন রাজনীতিবিদরাও যদি নিজ নিজ উদ্যোগ ও সামর্থ্য নিয়ে মাঠে নামেন তাহলে সমস্যা আরও কমে যাবে। কিন্তু আসল সমস্যা হলো, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বা চেয়ারম্যানরা সাহায্য করবেন কী, উল্টো ব্যস্ত হয়ে পড়েন ত্রাণের চাল চুরি করতে বা সাহায্যের টাকা মেরে দিতে। আসলে তাদের অনেক টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনে চেয়ারম্যান হতে হয়েছে। সেই খরচ তুলে আনার মোক্ষম সময় যেন এখনই। দুঃখজনক হলেও সত্যি এবারের দুর্যোগে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে থেকে নয়, বারবার শিরোনাম হয়েছেন নেতিবাচক কারণে। গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা প্রচুর টাকা-পয়সা কামিয়েছেন বলে শুনি। যারা দুর্নীতি করে কামিয়েছেন, তাদের কথা বাদই দেন, নিজের দল ক্ষমতায় ছিল বলে নিয়ম মেনে ব্যবসা-বাণিজ্য, ঠিকাদারি করেও অনেকে ভালোই কামিয়েছেন। এই বিত্তবান নেতা-কর্মীরাও যদি মানুষের পাশে দাঁড়াত, তাহলেও সরকারি ত্রাণের আশায় বসে থাকতে হতো না।

এটা ঠিক এবারের দুর্যোগ অন্য সব দুর্যোগের মতো নয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের সবচেয়ে বড় উপায় হলো বিচ্ছিন্ন থাকা, ঘরে থাকা। তাই অন্য সব দুর্যোগের মতো ত্রাণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া সম্ভব নয়, সংগতও নয়। তবে এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। চাইলে দূরে থেকেও মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার করে টাকা দিয়েছেন। কিছু অনিয়ম এবং পদ্ধতিগত ত্রুটি হলেও বেশির ভাগ পরিবারই ঘরে বসে টাকা পেয়েছেন। কিন্তু এবার মাঠে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল দৃষ্টিকটু রকমের কম। ত্রাণ দিবেন, দান-খয়রাত করবেন; আর সেটা কাউকে জানতে দেবেন না; বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিরা এতটা সংবেদনশীল এখনো হননি। তারা বরং ১০ টাকা ত্রাণ দিলে ১০০ টাকার আওয়াজ করেন। প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের মাথা খেয়ে ফেলেন। কিন্তু এবার সে আওয়াজটা খুব একটা শোনা যায়নি। বিপদের মাঠে জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতির বিষয়টি আগে থেকেই চোখে লাগছিল। তবে সম্প্রতি একটি দৈনিকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সংসদ সদস্যই করোনা মোকাবিলায় এলাকায় নেই। সরাসরি ত্রাণ বিতরণে অংশ নিয়েছেন মাত্র ১৩৯ জন সংসদ সদস্য। করোনা মোকাবিলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর একবারও এলাকায় যাননি ৭৫ সংসদ সদস্য, এলাকায় দেখা যায়নি ১৫ মন্ত্রীকেও। মাত্র একবার করে গেছেন ৮২ সংসদ সদস্য।

আগেই বলেছি, যে কোনো জনসমাগমই করোনাভাইরাসের জন্য বিপজ্জনক। আর এমপিরা এলাকায় গেলে জনসমাগমের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু ইচ্ছা থাকলে ঘরে বসেও জনগণের পাশে থাকা যায়। কীভাবে পাশে থাকা যায়, সেটা সেদিনের ছেলে মাশরাফী শিখিয়ে দিচ্ছেন বারবার। মাশরাফীর মতো আরও অনেকেই জনগণের পাশে আছেন জানি। কিন্তু বাস্তবতা হলো জনগণের পাশে থাকা জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যাটা কম। বিপর্যয় যত বড়, রাজনীতিবিদদের উপস্থিতি তত ব্যাপক নয়। বেশির ভাগই এখন নন্দলালের মতো দেশপ্রেমিক হয়ে গেছেন। দেশের সেবা করবেন বলে নিজেরা গর্তে লুকিয়েছেন। করোনা গেলে তারা বেরিয়ে এসে দেশ উদ্ধার করবেন।

এটা ঠিক, ঘরে থাকাই নিরাপদ, এটাই স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু তা জেনেও তো ডাক্তার, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সাংবাদিক, জরুরি সেবার লোকজন কাজ করছে। সারা জীবন জেনে এসেছি রাজনীতিবিদরাই সবচেয়ে সাহসী। তারাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় দুই পক্ষের মাঝখানে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান রাজনীতিবিদরা। বন্যা, মঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, সাইক্লোন, রাজনৈতিক সহিংসতা- সব বিপদেই রাজনীতিবিদরা জনগণের পাশে থাকেন। তবে করোনাকাল বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের ভীরুতা, কাপুরুষতা আর স্বার্থপরতার উদাহরণ হয়ে থাকে। আমি জানি প্রবীণদের করোনা ঝুঁকি বেশি, বিশেষ করে যাদের অন্য কোনো

রোগ আছে। তাই আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা ঘরেই থাকতে পারেন। তরুণ ডাক্তাররাই কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে, প্রবীণ ডাক্তারদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না, তবে তাদের পরামর্শ নিচ্ছে। আওয়ামী লীগের তুলনামূলক নবীন নেতারা প্রবীণদের আগলে রেখে, তাদের পরামর্শ নিয়ে মাঠে নামতে পারতেন। আমার লেখাটি সত্য না মিথ্যা, সেটা আপনি নিজেই যাচাই করতে পারবেন। এই করোনা দুর্যোগে আপনি কি আপনার এমপি, চেয়ারম্যান বা মেম্বারের দেখা বা তাদের সহায়তা পেয়েছেন? আমিও একজন ভোটার। আমি কোনো জনপ্রতিনিধির দেখা পাইনি। ঢাকায় কয়জন এমপি, মেয়র, কাউন্সিলর মাঠে আছেন? চাইলে কি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মাঠে নামা যেত না, অন্তত ভিডিও কনফারেন্স বা ভিডিও বার্তায়ও তো নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষদের তারা বলতে পারতেন, ‘ভয় পাবেন না। আমি আপনাদের পাশে আছি।’ তারপরও এই সংকটে যেসব রাজনীতিবিদ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

যদি এমন হতো, এমপি-মন্ত্রীরা এলাকায় না গেলেও ঢাকায় বসে নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখছেন; তাও কথা ছিল। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় লড়াই যা করার শেখ হাসিনা একাই করছেন। শুরুর দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীরা এমন সব বাগাড়ম্বর করেছেন, যা একই সঙ্গে হাস্যকর ও বিরক্তিকর। আমার ধারণা এ কারণেই শেখ হাসিনা নেতা ও মন্ত্রীদের মিউট করে পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। মন্ত্রী-এমপিরা উল্টাপাল্টা কথা বলে বরং শেখ হাসিনাকে বিভ্রান্ত করেছেন, তাঁর লড়াইয়ের পথটা আরও বন্ধুর করেছেন। শেখ হাসিনা প্রায় নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্সে নানান নির্দেশনা দিচ্ছেন। এসব অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার পাশে বিশ্বস্ত আমলাদের দেখা যায়, কোনো নেতাকে নয়। মাঠপর্যায়েও ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনদের বেশি দেখা যায়। এমনকি ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় ও বিতরণের দায়িত্বও আমলাদের হাতেই, নেতাদের হাতে নয়। শেখ হাসিনা কি তবে তার দলের নেতাদের বিশ্বাস করছেন না বা তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না? তাই করোনাকাল বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের চরম পরাজয়ের কাল হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

করোনার শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা খবর খুব আলোচিত ছিল। শেখ হাসিনা নাকি, যেভাবে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে ভোট চেয়েছেন, সেভাবে ত্রাণ নিয়ে তাদের দরজায় যেতে এমপিদের নির্দেশ দিয়েছেন। ভালো নির্দেশ। কিন্তু এরপরই ট্রল। এমপিরা নাকি বুঝেছেন, যেহেতু তাদের ভোট চাইতে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হয়নি, তাই ত্রাণ নিয়েও তাদের দুয়ারে যেতে হবে না। তাই বেশিরভাগ এমপি ঢাকায় বসে আছেন। কিন্তু মাননীয় নেতৃবৃন্দ সারা জীবন কি শেখ হাসিনাই আপনাদের জেতাবেন? আপনাদের কি কখনই জনতার দুয়ারে ধরনা দিতে হবে না?

                লেখক : সাংবাদিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর