বুধবার, ৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান

সময়ের এ চ্যালেঞ্জে জিততে হবে

দেশের অর্থনীতি এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। করোনা নামের মহামারী দুনিয়াজুড়ে মানবজাতির ওপর কমবেশি আঘাত হেনেছে। অর্থনীতির জন্য ডেকে এনেছে বিসংবাদ। সমৃদ্ধ দেশগুলোও পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য গত কয়েক বছর সারা দুনিয়ায় ঈর্ষা অর্জন করলেও এবার করোনার কশাঘাতে অস্তিত্বের সংগ্রামে লড়ছে। ভরসা শুধু একটাই-বাঙালিরা হার না-মানা জাতি। কঠিন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যরে অধিকারী। করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি যে বিপর্যয়ের সম্মুখীন এ সম্পর্কে সংশয়ের অবকাশ নেই।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ২ থেকে ৩ শতাংশে নেমে আসবে। সরকার অবশ্য বলছে, এ বছর ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। করোনা-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আভাস মিলেছে। দেশের শিল্প খাতকে চাঙ্গা করার কার্যকর উদ্যোগ হবে এমনই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ধরে রাখতে আবাসন খাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে এমনটিই দেখতে চান এ খাতের উদ্যোক্তারা। কেননা এ খাতেই প্রায় অর্ধকোটি শ্রমিকের কর্মসংস্থান। এ খাত থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ও হয়। কভিড-১৯ পরবর্তী ধসে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ঠিক রাখতে হলে আবাসন খাতের পাশাপাশি শিল্প-বাণিজ্য, কৃষি এবং খাতকে চাঙ্গা করতে হবে। এর পাশাপাশি বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে হবে। করোনার প্রভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস রেমিট্যান্স আয় হুমকির সম্মুখীন। এক লাখেরও বেশি প্রবাসী শ্রমজীবী ফিরে এসেছেন দেশে। এ খাতের সংকট এড়াতে বিদেশে নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে উদ্যোগী হতে হবে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য নিতে হবে উদ্যোগ। পশ্চিমা দুনিয়া চীন থেকে পুঁজি প্রত্যাহারের যে উদ্যোগ নিচ্ছে তার একটা বড় অংশ যাতে বাংলাদেশ আসে, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর