বুধবার, ৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

মাস্ক না পরলে শাস্তি

কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে লকডাউন প্রত্যাহার করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সরকার কোনো শিথিলতা দেখাবে না। ইতিমধ্যে সরকারের দায়িত্বশীল মহল থেকে এ ব্যাপারে আভাস দেওয়া হয়েছে। নাগরিকরা যাতে ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করে সে ব্যাপারে বাধ্য-বাধকতা আরোপ করা হয়েছে। সাফ সাফ বলে দেওয়া হয়েছে লকডাউন তুলে দিয়ে সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও ঘর থেকে বাইরে এলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ঘরের বাইরে বেরোলেই মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের জেল হতে পারে। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে বলা হয়েছে, মাস্ক পরিধান না করা ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা জেল দেওয়া হবে ছয় মাসের। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয়দন্ডে দন্ডিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধির অন্য যে কোনো একটি না মানলে দেওয়া হবে তিন মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এ ক্ষেত্রেও উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়, বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসন অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটি বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার দুই মাসের বেশি সময় ধরে অফিস আদালত এমনকি কল-কারখানা বন্ধ রেখেছে। এ জন্য প্রায় চার লাখ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি মানতে হয়েছে জাতিকে। কিন্তু কিছু কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের কারণে লকডাউন কিংবা সাধারণ ছুটি কোনো কল্যাণে আসেনি। বাধ্য হয়ে করোনাভাইরাসের থাবা যখন আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে তখন সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত হলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃঢ় মনোভাবও কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর