বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম

শুভঙ্করের ফাঁকি যেন না হয়

করোনাকালে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে ডেঙ্গু আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় ভুগছে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ। দেশের নগর এলাকাগুলোতেও এখন আশঙ্কা দানা বেঁধে উঠছে। করোনাকালে মশা নিধনে ঘাটতি থাকায় তা যে এডিস মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক হয়েছে এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলেও দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবরও আসছে। মশাবাহিত এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে সাতটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, গত বছরের মতো এ বছরও ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই নির্দেশনার আলোকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য এখন থেকেই কার্যক্রম গ্রহণ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে অফিস কক্ষ, ওয়াশরুম, অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পরিত্যক্ত বোতল, টায়ার-টিউব, ডাবের খোসা, অফিসের আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আঙিনা, ওয়াশরুম, বাসস্থানসহ এর আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে হবে। ফুলের টব, বাসস্থানের  ছাদ বাগানসহ পানি জমে থাকে এমন সব পাত্র অপসারণ বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। ডেঙ্গু গত বছর বাংলাদেশের বড় মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিল। সরকারি হিসাবে, পুরো বছরে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।  তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। এ বছর মশা নিধনে ঘাটতি থাকায় ইতিমধ্যে মশার প্রকোপ বেড়েছে। আমরা আশা করব ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালিত হবে। লক্ষ্য রাখা হবে কোথাও যাতে শুভঙ্করের ফাঁকির ঘটনা না ঘটে।

সর্বশেষ খবর