শিরোনাম
শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যা

অপরাধীদের ঘায়েল করার ব্যবস্থা নিন

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার মূল হোতা খালেদ আল মিশাই ঘারিয়ানে লিবীয় বিমান বাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে। নিরপরাধ বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি করে পণ আদায় এবং পণ দানে ব্যর্থ হলে তাদের হত্যা করা ছিল মিলিশিয়া নামধারী তস্করদের পেশা। বাংলাদেশিদের নির্বিচার গুলি চালিয়ে হতাহত করার জন্য দায়ী দুবর্ৃৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ত্রিপোলি নিয়ন্ত্রণকারী সে দেশের বৈধ সরকার যে দায়িত্বশীল আচরণ করেছে তা অভিনন্দনযোগ্য। দুর্বৃত্তদের হাতে এখনো বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি আটক রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নাগরিকদের জানমালের সুরক্ষা বাংলাদেশ সরকারের নৈতিক কর্তব্য এবং আমাদের বিশ্বাস সরকার এ বিষয়ে পূর্ণমাত্রায় সচেতন রয়েছে। আমরা আশা করব, লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যাকা-ে জড়িত অপরাধী চক্রের শাস্তি বিধানে সরকার সে দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। প্রয়োজনে দুর্বৃত্তদের দমনে জাতিসংঘের অনুমতি নিয়ে সে দেশের সরকারি বাহিনীর সহায়তায় সৈন্য প্রেরণের সম্ভাব্যতা নিয়েও ভাবতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়ে কোনো অপরাধী চক্র যা ইচ্ছা তাই করার ধৃষ্টতা দেখাবে, তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। লিবিয়া ঐতিহ্যগতভাবে অপরাধী ও খুনি চক্রের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সে দেশের স্বৈরাশাসক মানুষবেশী ইবলিশ গাদ্দাফি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের মদদ জুগিয়েছিল। তাদের সে দেশে আশ্রয় দিয়েছিল। লিবীয় জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামে গাদ্দাফির পতন হলেও সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার বশংবদ অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এ নিয়ন্ত্রণ শুধু লিবীয় জনগণ নয়- অন্যান্য দেশের মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের উচিত সে দেশের অপরাধীদের দমনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় করা। প্রয়োজনে ত্রিপোলির বৈধ সরকারের সমর্থনে সেনা সহায়তা প্রদানের কথা ভাবা। একই সঙ্গে মানবপাচার চক্রের যে সব দেশের অপরাধী লিবীয় দুর্বৃত্তদের যোগসাজশে বিদেশিদের জিম্মি করে পণ আদায়ের ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আঘাত হানতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে উকুন বাছাইয়ের মতো মানবপাচারকারীদের ধরা সম্ভব বলে আমাদের বিশ্বাস।

সর্বশেষ খবর