শিরোনাম
শনিবার, ৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রবাসীদের কৃষি উদ্যোগে প্রয়োজন কূটনৈতিক তৎপরতা

শাইখ সিরাজ

প্রবাসীদের কৃষি উদ্যোগে প্রয়োজন কূটনৈতিক তৎপরতা

ইংরেজিতে একটা ফ্রেইজ বা শব্দগুচ্ছ ব্যবহৃত হয় The Sword of Damocles। যে কোনো সময়ই অঘটন ঘটে যেতে পারে, কারও এমন সংকটময় পরিস্থিতি বোঝাতেই ওই শব্দগুচ্ছটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ নিয়ে চমৎকার একটি গল্পও প্রচলিত আছে। ডেমোক্লিস ছিলেন রাজা ডিওনাইসিয়াসের ঘনিষ্ঠ লোক। ডেমোক্লিস ভাবত রাজার কাজ কী আর এমন কঠিন! কী সুখের জীবন! তার এই ভাবনার কথা শোনে, রাজা ডিওনাইসিয়াস ডেমোক্লিসকে একদিনের জন্য রাজার সিংহাসনে বসালেন। ডেমোক্লিস বুঝতে পারল, রাজ্য চালানো সহজ কাজ নয়। রাজাকে হত্যা করার জন্য অসংখ্য তরবারি বাতাসে ওতপেতে আছে। রাজার গলার কাছে সব সময়ই একটা তরবারি ঝুলে আছে। যে কোনো সময়ই কতল হয়ে যেতে পারে। কাজটা যে মোটেও সহজ নয়, বরং বিপজ্জনক ও জটিল সেটা বুঝতে পেরে সিংহাসন ছেড়ে দিয়ে ডেমোক্লিস তার ভুল স্বীকার করেছিল। আমাদের চিন্তাও ডেমোক্লিসের মতোই। বিশেষ করে প্রবাসীদের নিয়ে আমাদের যে চিন্তাভাবনা। আমরা চিন্তা করি যারা বিদেশে আছেন তারা বোধহয় খুব সুখে শান্তিতে আছেন। কিন্তু প্রবাসীরা সব সময় একটা কঠিন অনিশ্চয়তা নিয়ে জীবনযাপন করেন। অধিকাংশ প্রবাসীই মানবেতর জীবনযাপন করেন। নিজেরা এক বেলা আধবেলা খেয়ে টাকা জমিয়ে দেশে পাঠান। আমরা দেশে তাদের জন্য কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারিনি বলেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই বিদেশের মাটিতে পরিশ্রমের ঘানি টানেন। তাদের বিদেশ যাওয়ার পথটাও এত সহজ নয়। সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা মনে দাগ কেটেছে। বেঁচে থাকার তাগিদে ঘর ছেড়ে পরদেশে লাশ হয়ে পড়ে আছে আমার দেশের ছেলেরা। আমাদের দেশ থেকে প্রচুর মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে যায় কাজের আশায়। এক পর্যায়ে বেশির ভাগেরই লক্ষ্য থাকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়া। লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার এই পুরো রুটে মানব পাচারকারী বিশাল চক্র সক্রিয়। ২০১৬ সালে জার্মানিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শ্রমিকের সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হয়। তাদের কাছে শুনেছি কী অমানবিক কষ্টের ভিতর দিয়ে তাদের যেতে হয়েছে। তেমনি একজন আশরাফুল। আশরাফুল প্রথমে বাংলাদেশ থেকে মিসরে যান। মিসরে কাজ করেন দেড় বছর। লিবিয়ার স্বৈরশাসক গাদ্দাফি যখন মারা যান, তখন অনেকের সঙ্গে আশরাফুলও লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। লিবিয়ায় কাজকর্ম করে ভালোই চলছিল আশরাফুলদের। এই ভালো মানে, কোনো রকম বেঁচে থাকা। ভাগ্যের সন্ধানে থাকা আশরাফুলদের ভালো থাকার গল্পটা আদতে খুব করুণ। জীবনের চড়াই-উতরাইটা এত বেশি যে মন্দের সঙ্গে ভালোর দূরত্ব খুব কম হয়। বছর দুয়েকের মাঝে লিবিয়া আশরাফুলদের জন্য নরকে পরিণত হয়। লিবিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গোলাগুলি-কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মাঝে জীবন আটকে যায়। আশরাফুলের সঙ্গে কাজ করত বরিশালের এক ছেলে, সে একদিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হলো। আশরাফুলদের কাজ থেমে গেল। কাজ নেই মানে খাবার নেই। বাড়িতে টাকা পাঠানো নেই। কয়েকজন মিলে ঠিক করলেন যে দালালের মাধ্যমে তারা গিয়েছিলেন তার কাছে যাবেন। ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে দালালের বাড়ি গেলেন। এবার দালাল স্বপ্ন দেখালো ইতালির। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিলেই স্বপ্নরাজ্য। মাত্র ঘণ্টা দশের পথ! মাছ ধরার ছোট্ট একটা নৌকায় ৩৫০ জনের সঙ্গে রওনা করলেন। মানুষে ঠাসাঠাসি। কোথাও আরামে বসার মতো এতটুকু জায়গা খালি নেই। ১৮ ঘণ্টা এক নৌকায় করে গিয়ে। আর একটি নৌকায় তুলে দেওয়া হলো। যেন মানুষ নয়, অন্য কোনো প্রাণী তারা। বেল্ট দিয়ে মারতে মারতে ছোট্ট নৌকায় মাছ রাখার জায়গাটিতে ঠেসে ভরতে থাকল। কেউ একটু নড়তে চাইলেই বেল্ট দিয়ে আঘাত। আশরাফুলের কপাল থেকে গাল পর্যন্ত রক্তাক্ত হলো বেল্টের আঘাতে। তারপর আর একটি নৌকায় আবার সমুদ্র যাত্রা। আরও ১৮ ঘণ্টা সাগরে ভাসার পরও তীরের দেখা নেই। কেউ নড়তে চড়তেও পারছিল না তারা। ৩৬ ঘণ্টা পানিহীন, খাবারহীন মানুষগুলো  তৃষ্ণায় একের পর এক নেতিয়ে পড়ছিল, অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল।  আশরাফুলের কাছে যে পানির বোতলটা ছিল সেটা প্রথম ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই ছিনতাই হয়ে যায়। চোখের সামনে অথৈ জলরাশি অথচ একবিন্দু পানির জন্য বুকফাটা অবস্থা। এর মাঝে চোখে পড়ল নৌকার চালক সব কাপড় খুলে শুধু লাইফ জ্যাকেট পরে আছে। তার মানে নৌকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা। আশরাফুল যেদিন এলেন, তার আগের দিনও একটা নৌকাডুবির ঘটনায় মারা গেছেন শত শত জন। জীবন বাজি রেখেই চড়েছিলেন ইতালির নৌকায়। হায়! সমুদ্রেই বুঝি হয় তার সলিল সমাধি! ছোট্ট একটা কোরআন শরিফ বুকে জড়িয়ে দেশ থেকে রওনা দিয়েছিল আশরাফুল। জীবনের যে কোনো সংকটেই তিনি তা বুকে আগলে রেখে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন। সমুদ্রে ছোট্ট নৌকাটিতে কান্নার রোল উঠেছে, মৃত্যু নিশ্চিত। তখনো তিনি বুকে কোরআন শরিফটা জড়িয়ে বাঁচার জন্য প্রার্থনা করছিলেন স্রষ্টার কাছে। ভাগ্য অতি ভালো, বোধকরি স্রষ্টা আশরাফুলের ডাক শুনেছিলেন, একটা জাহাজ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় মিউনিখ ক্যাম্পে। সেখান থেকে সপ্তাহখানিক পর বেলেফেল্ডের একটা জঙ্গলে ছিলেন দুই মাস। সেখান থেকে আসেন লেম্বুতে। তারপর সেখান থেকে শুরু করেন জীবনের আরেক যুদ্ধ। আশরাফুলের মতো মানুষদের এই জীবনযুদ্ধ, কষ্ট আর ত্যাগের ফসল আমাদের রেমিট্যান্স। 

তাদের কল্যাণেই আমাদের রেমিট্যান্স আয়। মহামারী করোনাভাইরাসের সংকটেও যখন অন্যসব অর্থনৈতিক খাত ঝিমিয়ে গেছে, তখনো আশার আলো দেখাচ্ছে রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের এক মাস বাকি থাকতেই প্রায় গত অর্থবছরের সমান রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর মাঝে অবশ্য রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। কিন্তু দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ায় করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের কারণে গত কয়েক মাসে ৭ লাখের বেশি শ্রমিক ফেরত এসেছে। তাই ভবিষ্যতে রেমিট্যান্সে এর বড় প্রভাব পড়তে পারে। তাই এ বিষয়টিতে আমাদের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্রিটেন অন্যান্য খাতের শ্রমিককে কৃষিতে যুক্ত করার একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। সত্যিকার অর্থে যারা খাদ্যের প্রশ্নে আমদানিনির্ভর তাদের নিজেদের কৃষিকাজ সম্প্রসারণের দিকেই হাঁটতে হবে এবং অন্যান্য অনেক খাতের কর্মী কেটে এনে কৃষিতে যুক্ত করার বিকল্প থাকবে না। সম্প্রতি ইতালির একটি সিদ্ধান্তের কথা জেনেছি। সেখানে প্রবাসী অভিবাসী শ্রমিকদের এই সংকটে কর্মহীন করে কিংবা বাড়িতে পাঠিয়ে না দিয়ে কৃষিকাজে যুক্ত করার একটি সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে ইতালি সরকার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। বিষয়টি প্রবাসী কর্মীরা অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসে কথা বলেছি। কনসাল জেনারেল ইকবাল মাহমুদ জানালেন বাংলাদেশের অনেক অভিবাসী ইতালি সরকারের এই সুযোগটি নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। কথা বলেছি ইতালিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তারাও জানালেন বিষয়টি আশাব্যঞ্জক। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে বহু প্রবাসী শ্রমিক দেশে ফিরে অনিশ্চিত সময় কাটাচ্ছেন। এই সময়ে পৃথিবীর দেশগুলো যদি খাদ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের জনশক্তিকে কৃষিতে যুক্ত করতে পারত, তাহলে তা তাদের জন্যই নতুন এক সম্ভাবনার পথ দেখাত। পৃথিবীর অনেক দেশেই বাঙালি কৃষি উদ্যোক্তা এমনকি বাঙালি কৃষি শ্রমিকের হাত দিয়ে নতুন এক কৃষি বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। এই হিসেবে সবচেয়ে সামনের সারিতে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান একসময় তেলসমৃদ্ধ ধনী রাষ্ট্র হিসেবে আরব সাগরের মাছ ছাড়া অন্যান্য খাদ্যপণ্যে শতভাগ আমদানিনির্ভর ছিল। বাঙালি কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের চোখেমুখে নতুন অর্থনৈতিক স্বপ্ন রচনা করেছে। এখন ওমানের একেকটি অঞ্চল বিস্তীর্ণ সবুজে পরিণত হচ্ছে। সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন রকম সবজি ও ফল। আর সেখানে কৃষির মূল চালকের আসনে রয়েছে প্রবাসী বাঙালিরা। সৌদি আরবের চিত্রও অনেকটা তাই। সেখানে পবিত্র তায়েফ নগরীকে গড়ে তোলা হচ্ছে সমৃদ্ধ কৃষিক্ষেত্র হিসেবে। বহু বাঙালি সেখানে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মনিয়োগ করেছেন। তারা সে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ২০১১ সালে আমরা কাতারে গিয়ে সে অর্থে কোনো কৃষি খামার খুঁজে পাইনি। একজন মাত্র তরুণ উদ্যোক্তা পেয়েছিলাম, চট্টগ্রামের ফরিদকে। কাতারে কৃষি নেই, তাই নেই ট্রাক্টর বা হালের গরু। তাই সে গাধা দিয়ে হালচাষ করে সাড়া ফেলেছিল। সেই কাতারে এখন প্রবাসী বাঙালিরা সে দেশের কৃষি অর্থনীতির স্বপ্ন বুনছে। কাতারের আলকোর বালাদোনা এলাকার চিত্র এখন ভিন্ন। সেখানে প্রবাসী বাঙালিরা কৃষির উপযোগিতা তুলে ধরেছে একেকজন আরব ভূমি মালিকের কাছে, তারা কৃষিতে অনুরাগী হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এখন কাতার সরকারও এসব কৃষি উদ্যোগে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছে। এখন সেখানে বহু প্রবাসী বাঙালি কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছেন। একে একে উদ্যোগ নিতে নিতে খামারের সংখ্যা পৌঁছে গেছে কয়েক হাজারে। প্রবাসী উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সংখ্যাটি ১০ হাজারের কম হবে না। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের ঠিক আগে আমরা কাতারের কৃষিচিত্র নিয়ে কাজ করতে যাই। আলকোর এলাকায় বেশ কয়েকজন বাঙালির কৃষি খামার ঘুরে দেখেছি। তাদের সাফল্যের কথা শুনেছি। শুনেছি সমস্যার কথাগুলোও। সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে, আমাদের সরকারের করণীয় জায়গাগুলো। তারা বলছিলেন সেখানে বাংলাদেশের বীজের খুব চাহিদা। অথচ বাজারে বাংলাদেশের বীজ পাওয়া যায় না। দেশ থেকে নিতে গেলেও এদেশের এয়ারপোর্টে সমস্যা করে, প্রচুর পরিমাণ টাকা দিতে হয়। অথচ কাতার এয়ারপোর্টে কোনো সমস্যাই হয় না। বিষয়গুলো সরজমিন দেখানোর জন্য কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলাম। যেন তার ধারণায় আসে কৃষকের সংকট ও প্রত্যাশার জায়গাগুলো। এই করোনা পরিস্থিতিতে কাতার সরকার নিশ্চয়ই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থেই কৃষির দিকে মনোযোগী হবে। বাঙালি এসব কৃষি উদ্যোক্তার জন্য সরকারের আনুকূল্য বাড়িয়ে দেবে। স্থানীয় কাতারিদের সঙ্গে প্রবাসী বাঙালিদের চুক্তির জায়গাটিতেও আরও কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত নেবে। যাতে প্রবাসী বাঙালিারা তাদের উদ্যোগ, শ্রম ও নিষ্ঠার মূল্য পায়। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীব্যাপী প্রবাসী বাঙালিরা যদি একেকটি দেশে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে, তাহলে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘ হলেও বিশ্বের একেকটি দেশের খাদ্য পরিস্থিতি ও কৃষি উৎপাদনের চিত্র পাল্টে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নেবেন। বিষয়টি নিয়ে সম্যক আলোচনার জন্য আমি কথা বলেছি আমাদের কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, প্রবাসীদের কৃষি বিষয়ক যে কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তিনি তার ব্যবস্থা করবেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনের সঙ্গেও। তিনি বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন বলে জানালেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মধ্যপ্রাচ্যে গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছি। জানিয়েছি মধ্যপ্রাচ্যের মাংসের বাজার এখন অস্ট্রেলিয়ার হাতে। করোনার দুঃসময় পরবর্তী মুসলিমদের দেশ হিসেবে হালাল মাংসের রপ্তানিবাজারটিতে আমরা প্রবেশ করতে পারি কিনা সেটা বিবেচনা করার জন্য। এ বিষয়েও তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। বিষয়টি তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখবেন।

আমাদের এখনই সময়, আমরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা আমাদের প্রায় এক থেকে সোয়া কোটি প্রবাসীর মধ্যে সিংহভাগ শ্রমজীবীকে আমরা ¯-স্ব দেশের কৃষিতে যুক্ত করার জন্য আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারি। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সুরক্ষা করে উন্নয়নমুখী চিন্তার ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ কিছুই হতে পারে না। এতে করে আমাদের বেকার হয়ে যাওয়া প্রবাসীদের যেমন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে, তেমনি তা হতে পারে আমাদের অর্থনীতির অনন্য একটি খাত।                        

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।   

ই-মেইল :[email protected]

সর্বশেষ খবর