মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
ভেষজ

ভেন্ডি

ভেন্ডি

নানা ধরনের সবজির মধ্যে একটি অর্থকরী ও আকর্ষণীয় ফসল হচ্ছে ভেন্ডি। আমাদের দেশের প্রায় সর্বত্রই ভেন্ডির চাষ হয়। ভেন্ডির উন্নত জাতগুলো হলো-পুসা চাওয়ানী, পরভানী ব্রান্তি, আর্কা অনামিকা, আর্কা অভয়, লং গ্রিন, লং হোয়াইট ইত্যাদি। অন্য কিছু জাত যেমন ভেন্ডি ১০, ছয়গুণ, গ্রিন সেলেঞ্জার ইত্যাদিও বাজারে পাওয়া যায়। বীজের হার : প্রতি বিঘা জমির জন্য ২.৫-২.৮ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য বীজ বোনার সময় মাটিতে রস কম থাকে এবং ঘন করে লাগানো হয় সেজন্য বীজের পরিমাণ একটু বেশি দরকার হয়। বর্ষাকালে জমিতে রস বেশি থাকে এবং সারির দূরত্ব বেশি হয় বলে কম বীজের দরকার হয়। জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ : প্রায় সব রকম জমিতেই ভেন্ডি চাষ করা যায়। তবে পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত দোআঁশ জমিতে ভেন্ডির চাষ ভালো হয়। লম্বা ও আড়াআড়িভাবে তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হয়। ভেন্ডি  চাষের জন্য দরকারি সারের পরিমাণ বিঘাপ্রতি গোবর বা পচন সার ১০০ কেজি, ইউরিয়া ১২ কেজি, সিঙ্গল সুপার ফসফেট ৪০ কেজি এবং মিউরেট অব পটাশ ১০ কেজি, গোবর বা পচন সার জমি তৈরি করার সময় ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। শেষ হাল চাষের সময় ছয় কেজি ইউরিয়া এবং পুরো মাত্রায় সুপার ও পটাশ সার জমিতে প্রয়োগ করা দরকার। বীজ বোনার ৩০-৩৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ছয় কেজি ইউরিয়া চাপান সার হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। বীজ বোনার পদ্ধতি : ভেন্ডির বীজের আবরণ শক্ত থাকায় বীজে সহজে পানি প্রবেশ করতে পারে না। ফলে বীজ অঙ্কুরোদ্গমে সময় বেশি দরকার হয়। সেজন্য বোনার আগে বীজ ১০-১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে বুনলে তাড়াতাড়ি অঙ্কুরোদ্গম হয়। গ্রীষ্মকালে বীজ বোনার জন্য ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্বে সারি তৈরি করে প্রতি সারিতে এক সেন্টিমিটার দূরত্বে বীজ বোনা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর