বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার বিরুদ্ধে লড়াই

বাজারে আসছে ভ্যাকসিন

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মানুষই যে জয়ী হবে এতে সংশয়ের অবকাশ নেই। যুদ্ধে জয়ী হতে দুনিয়াজুড়ে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। চলছে করোনা নিরাময়ের ওষুধ তৈরির প্রয়াস। তবে ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার আগে এ নিয়ে চলছে হরেক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এগুলো সম্পন্ন হতে আরও এক-দেড় বছরও লাগতে পারে। সবচেয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা বলেছেন, আগামী আগস্টেই ইনহেলারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস করোনা নির্মূলে ভ্যাকসিনটি সফল হবে। যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের গবেষকরা করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। করোনা সংক্রমিত রোগীদের ক্ষেত্রে এ চিকিৎসাপদ্ধতি জীবনরক্ষাকারী হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা নতুন এ চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবনে কাজ করছে। বিশ্বে এখন প্রায় ২০০টি গবেষক দল সবার আগে ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে নেমেছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সামনের সারিতেই রয়েছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটি যৌথভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে কাজ করছে এবং ব্রাজিলে মানুষের ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাচ্ছে। বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারীর কেন্দ্রস্থল ব্রাজিল। ভ্যাকসিনটি কার্যকর হবে কি না, তা আগস্টের মধ্যেই জানা যাবে বলে আশা করছেন তারা। ভ্যাকসিনটির দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে তারা এর উৎপাদন শুরু করেছেন। এটি কার্যকর হতে হবে ধরে নিয়ে তারা এ বছরের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটি ডোজ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। বৃহস্পতিবার মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম ধনী বিল গেটস অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছেন, যাতে তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের অর্ধেক ডোজ স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্য সরবরাহ করা যায়। করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে লাখ লাখ মানুষকে কেড়ে নিয়েছে। পৃথিবীর কয়েকশ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকায় হুমকি সৃষ্টি করেছে। একমাত্র ভ্যাকসিনের সফল আবিষ্কারই বিপদটি রুখে দিতে পারে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর