শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কভিড-১৯ টেস্ট যেন সোনার হরিণ

মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

কভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনে গুরুতর সংকট সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীজুড়ে এ পর্যন্ত ৭২ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। মারা গেছে চার লাখের বেশি মানুষ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি এই মৃত্যুগুলোর জন্য আর কোনো রোগ দায়ী ছিল কিনা, তাদের বয়স কত ছিল, আক্রান্ত হওয়ার পর কোন ধরনের লক্ষণ প্রথম প্রকাশ এসব নিয়ে পর্যালোচনার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের টেস্ট করার বিড়ম্বনা নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে এর টেস্ট যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে। রাজধানীতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও পাওয়া যাচ্ছে না টেস্টের সিরিয়াল। দেশের বেশির ভাগ জেলাতেই নেই টেস্টের সুবিধা। যেসব বিভাগীয় শহরে আছে সেসবও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার কোনো কোনো জেলায় পিসিআর থাকলেও কিট দেওয়া হচ্ছে যৎ সামান্য। এ কারণে টেস্টের পরিমাণ কম হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সাধারণ রোগী। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সময়মতো কোনো রিপোর্ট এখন আর আসছে না। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাসের নমুনা দিয়ে রিপোর্ট পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ দিন। আবার অনেকে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও নমুনা দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন বাড়ি। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টেকনিশিয়ান না থাকায় ভর্তিকৃত রোগী ছাড়া আর কারোনার নমুনা সংগ্রহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো কোনো মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালগুলোর এ অব্যবস্থাপনা ও সেবার মান অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের সেবার মান বাড়াতে হবে। করোনাভাইরাসের টেস্ট নির্বিঘ্ন করার পাশাপাশি মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এই আমাদের আশা।

 

 

সর্বশেষ খবর