শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে যাদের ফুসফুস তীব্রভাবে সংক্রমিত এবং অন্য রোগের জটিলতা রয়েছে তাদের নিয়েই উদ্বেগ বেশি। কারণ এ রোগ রোগীর ফুসফুস অকার্যকর করে ফেলে। তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার সক্ষমতা থাকে না। তাদের প্রথমে বিভিন্ন পর্যায়ের অক্সিজেন দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক করার চেষ্টা করা হয়। এতেও যাদের অবস্থা উন্নতি না হয় তাদের নেওয়া হয় আইসিইউতে। তাদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে প্রয়োজন পড়ে ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন। এসব বক্তব্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ সফররত চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের এক বৈঠকে। করোনা রোগীদের চিকিৎসাসহ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সামগ্রিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনায় তারা বলেছেন, বিশ্বের কোথাও এখনো এর প্রতিষেধক বের হয়নি। অনেক দেশেই প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত অক্সিজেন সাপোর্টই এর মূল চিকিৎসা বলে তারা জানিয়েছেন। বৈঠকে চীনের কাছে কিছু অক্সিজেন সাপোর্ট ডিভাইসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারাও এটি দিতে রাজি হয়েছেন। চীনে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে রাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিয়েছিল, তাদের চিকিৎসকদের পিপিই থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেসব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। চীনা চিকিৎসকদের ভাষ্য কারও করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বাসায় সবার সঙ্গে থাকার দরকার নেই। তাকে আইসোলেশনে অন্যত্র রাখতে হবে। চীনা মেডিকেল টিমের সদস্যরা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিদর্শন, মনোনীত হাসপাতাল, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও পরীক্ষাকরণ কেন্দ্রগুলোতে কাজ করবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কভিড পজেটিভ রোগীদের জন্য ৪৪৭টি আইসিইউ রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ কাজে লাগানো যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর