রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
ভেষজ

কালিজিরার গুণ

কালিজিরা রান্নায় কমবেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। এই কালিজিরা বিভিন্ন রোগের মহৌষুধ। বিশ্বজুড়ে প্রাচীনকাল থেকে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত কালিজিরা খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, একজিমা, এলার্জি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে থাকে। কালিজিরায় ভিটামিন, স্ফটিকল নাইজেলোন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, স্যাপোনিন, ক্রুড ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো লিনোলেনিক, ওলিক অ্যাসিড, উদ্বায়ী তেল, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। কালিজিরার উপকারিতা : ১. ডায়াবেটিস সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগ হিসেবে পরিণত হয়েছে। কালিজিরার তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ তেল মিশিয়ে পান করুন। ২. ডায়েটের জন্য কালিজিরা দারুণ কাজ করে। রুটি ও তরকারিতে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই মধু ও পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। কালিজিরা ওটমিল ও টক দইয়ের সঙ্গে যুক্ত করে খেলে বেশ উপকার পাবেন। ৩. লেবুর রস ও কালিজিরার তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। লেবুর রস ও কালিজিরার তেল মিশিয়ে দিনে দুবার মুখে লাগান। ত্বকের ব্রণ ও দাগ অদৃশ্য হয়ে যাবে। ৪. কালিজিরার তেল মাথাব্যথার জন্য একটি পুরনো ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বলা হয়। ৫. সরিষার তেলের সঙ্গে কালিজিরার তেল গরম করে হাঁটু বা অন্য জয়েন্টগুলোতে ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। ৬. কালিজিরায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায়, প্রদাহ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করার ক্ষমতাসহ লিভারকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। ৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে কালিজিরা।

নিয়মিত কালিজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ৮. সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে, এক চা-চামচ কালিজিরার তেলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু বা এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ কালিজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। পাশাপাশি, এক চা-চামচ কালিজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি কমে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর