সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

অর্থ পাচারে শীর্ষে গার্মেন্ট মালিকরা

নজরদারি বাড়াতে হবে

সুবিধা আদায়ে সরকারের সঙ্গে শুধু দরকষাকষিই নয়, অর্থ পাচারেও শীর্ষে রয়েছেন গার্মেন্ট মালিকরা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাচারের অর্থে উন্নতবিশে^ বসবাসসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুলেছেন পোশাকশিল্প মালিকরা। আর এ অর্থ পাচার হচ্ছে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার আড়ালে। এভাবেই জনগণের দেওয়া করের ৩৬ শতাংশ পরিমাণ টাকাই পাচার হয়। বর্তমানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশ থেকে অর্থ পাচার ১৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি-জিএফআই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর, শুল্ক গোয়েন্দা ও বন্ড কমিশনারেট মতে, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের শীর্ষে রয়েছেন পোশাকশিল্প মালিকরা। তারা বন্ডের অপব্যবহার করে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রি করছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাছাকাছি থাকায় এ পোশাকশিল্প মালিকদের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি খুব একটা অডিট হয় না। অর্থ পাচারকারী এই পোশাকশিল্প মালিকদের ধরতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। রাষ্ট্রীয়ভাবে এগুলো চিহ্নিত করার পরও অর্থ পাচারকারীদের শাস্তি হয় না। ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ও বিজিএমইএর কাগজপত্র পর্যালোচনা করেছে এনবিআর। এতে ৬৩টি পোশাক কারখানার বিরুদ্ধে বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণে বিজিএমইএকে অনুরোধ করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা ছাড়াও কারও কারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থগিত করেছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি জিএফআই ৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বাণিজ্যের আড়ালে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। অর্থ পাচার ঠেকাতে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে প্রকৃত মূল্য ঘোষণার ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর