মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ভেজাল সুরক্ষা সামগ্রী

অসাধুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য

করোনা মহামারীর এই সময়ে দেশের মানুষের কাছে জীবাণুনাশক পণ্যের চাহিদা যখন তুঙ্গে, তখন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের নামে বিভিন্ন মানহীন নকল পণ্য বাজারজাত করছে। এই অসাধু ব্যবসায়ী শ্রেণিকে সহযোগিতা করছেন কিছু খুচরা বিক্রেতা। বিভিন্ন ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও বিক্রি হচ্ছে এসব নকল পণ্য। এ ধরনের নকল ও মানহীন পণ্যগুলোর মাধ্যমে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুরক্ষা সামগ্রী নিরাপত্তার বদলে জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। পিপিই, মাস্ক, অক্সি মিটার, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস ইত্যাদি যেখানে-সেখানে বিক্রি হচ্ছে। দামও লাগামহীন। করোনাভাইরাসের মতো জীবাণু থেকে রক্ষা সামগ্রী ব্যবহারে নিজেকে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। নকল পণ্য ব্যবহারের কারণে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে মানুষকে হুমকির মুখে ফেলছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালে ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া গ্লাভস, মাস্কসহ অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করে তা রিসাইকেল করে পুনরায় বিক্রি করছেন। দেশীয় কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া এবং ওষুধের দোকানে নিয়মিত না পাওয়ার সুযোগে এক দল অসাধু ব্যবসায়ী এসব নকল করে বাজারে বিক্রি করছে। আর ফুটপাথ থেকে কেনা সুরক্ষা সামগ্রী অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভেজাল সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রির অপরাধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানাও করেছেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্র বলছে, ২২ মার্চ থেকে ভেজাল সুরক্ষা সামগ্রীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। যারা মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে পকেট কাটছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর