শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কৃষি খাতের বরাদ্দ বাস্তবায়ন

দায়িত্বশীলতা আরও বাড়াতে হবে

কৃষি বাঁচিয়ে রাখতে হলে কৃষককে সরাসরি প্রণোদনার অর্থ দিতে হবে। কৃষি খাতের কারণে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এখনো টিকে আছে। অথচ করোনা সংকটের মধ্যে কৃষি খাতের জন্য যে প্রতিফলন বাজেটে থাকা উচিত ছিল, তা দেখা যায়নি। করোনার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি প্রণোদনার অর্থ আম্ফানের তান্ডবে কৃষক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কৃষি খাতের বরাদ্দ প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। সেটা কীভাবে খরচ হবে তার নির্দেশনা খুব বেশি নেই। আগামীতে কৃষির ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়বে। এজন্য কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। সারা দেশে পাঁচ থেকে ছয়টি প্রসেসিং সেন্টার করার কথা ছিল। যেখান থেকে পণ্য রপ্তানির জন্য প্রসেসিং করার কথা-সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কিনে। বাজেটে নদীভাঙন এলাকার কৃষি রক্ষার জন্য কোনো পরিকল্পনা নেই। অথচ করোনা সংকটে কৃষির ওপর মানুষের যে নির্ভরতা সেটা স্পষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি খাতে তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আসতে হলে নতুন ভাবনা থাকা উচিত। প্রথাগত কৃষিনির্ভরতা থেকে সারা বিশ্বই এখন নতুন ও উদ্ভাবনী কৃষির দিকে ঝুঁকছে। মাইক্রোগ্রিন নামে পরিচিত শহুরে ছাদকৃষির ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়েছে। দেশের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করতে কৃষককে বাঁচিয়ে কৃষির ওপর সর্বোচ্চ জোর দিতে হবে। কৃষি পণ্যের বিপণনে বাজেটে বিস্তারিত পরিকল্পনা থাকা দরকার ছিল। সময় এসেছে কৃষি ডাটাবেজ তৈরির। ডাটাবেজ থাকলে কোন কৃষক কী উৎপাদন করে, তা সহজে জানা যাবে। কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে কর মওকুফ করা যেতে পারে। সুতরাং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতা আরও বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর