বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা টেস্টের বহুমুখী বাণিজ্য

অনিয়ম বন্ধ করতে হবে

চতুর্থ মাসে এসে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। লক্ষণীয়ভাবে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে সময় লাগবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি নতুন রোগী বেড়েছে, এমন তালিকায় বাংলাদেশ ১১তম। সংক্রমণ ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত কার্যকর লকডাউন বা স্বাস্থ্য বেষ্টনী তৈরি ও টেস্টের ওপর জোর দিয়েছিল সরকার। করোনা টেস্ট নিয়ে সাধারণ মানুষ দেশের মেডিকেলগুলো থেকে যথাযথ সেবা পাচ্ছে না। সরকারিভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে ফ্রি টেস্টের যে আয়োজন করা হয়েছে তা নিয়ে আছে বিস্তর হয়রানির অভিযোগ। এই ভোগান্তির সুযোগে এসব টেস্ট করানোর জন্য অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে দালাল চক্র। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা টেস্টের জন্য ইচ্ছামতো মূল্য হাঁকানো হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য বেঁধে দিলেও অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থাই নিচ্ছে উচ্চমূল্য। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট বিক্রি। এসব ভুয়া নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও যাচ্ছেন অনেকে। বিদেশে গিয়ে ধরা পড়ছে সার্টিফিকেট ছিল ভুয়া। ফলে দেশের করোনা টেস্টের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এসব দেশ। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৬০টি ল্যাবে পরীক্ষা চলছে, যার ৩০টিই ঢাকায় এবং ১৭টি ল্যাব সাতটি জেলায়। সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা যখন অব্যাহত রয়েছে, তখন পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখা উচিত, আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী ভুল করছি, সীমাবদ্ধতাগুলো কী ছিল। করোনা টেস্ট নিয়ে অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর