শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ল্যাবে নমুনার স্তূপ

করোনা মোকাবিলায় কঠোর হতে হবে

করোনাভাইরাস কভিড-১৯ এর মহামারীর ভয়াবহতা ক্রমেই বাড়ছে। দেশে করোনা সংক্রমণের ১০০ দিন পার হওয়ার পরও আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্তের দৈনিক গড় বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে এ পর্যন্ত যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে তাদের ৪৭ শতাংশই শেষ ১৬ দিনে। একইভাবে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বৈশ্বিক তালিকায় এক ধাপ ওপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১১৮টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০তম; আর আক্রান্তের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ১৮তম। দেশে করোনা টেস্ট করানোর পর রিপোর্ট পেতে মানুষ রীতিমতো হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। সারা দেশে মাত্র ৬০টি ল্যাবে চলছে করোনাভাইরাস শনাক্ত টেস্ট। উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের দুয়ারে ঘুরছে মানুুষ, হটলাইন ল্যাবে নমুনার নম্বরে বাড়ছে উপসর্গ থাকা রোগীদের কল। অনেক চেষ্টায় করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দিলেও ১৫ দিনে মিলছে না প্রতিবেদন। টেস্ট করতে না পারা এবং নমুনা দিয়ে ১৫ দিনেও প্রতিবেদন না পাওয়ায় মানুষের আতঙ্ক, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। মনোবল হারাচ্ছে রোগী। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, নমুনা বেশি হওয়ায় ল্যাবগুলোতে জমে যাচ্ছে। তাই রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। অথচ নমুনা সংগ্রহ করে ভাইরাস ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম (ভিটিএম) এ চার থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখা হলে ভাইরাস তিন দিন জীবিত থাকে। নমুনা নেওয়ার পর ঠিকমতো কোল্ড চেইন না মানলে টেস্টের রিপোর্ট ভুল আসতে পারে। সেক্ষেত্রে নুমনা নেওয়ার ১০-১৫ দিন পর রিপোর্ট পেলে সেই রিপোর্ট কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। করোনা টেস্টের রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় নিশ্চয় উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। রোগীর ভোগান্তি ও রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় মাথায় রেখে করোনা মোকাবিলায় আরও কঠোর হওয়া বাঞ্ছনীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর