শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

নদী খননে বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রয়োজন সর্বাত্মক পদক্ষেপ

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে নদী খননের মূলধনী যন্ত্রপাতি হিসেবে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিনের আমদানি শুল্ক এক শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মূলধনী যন্ত্রপাতি হিসেবে ড্রেজার আমদানিতে যে রেয়াতি কর সুবিধা ছিল, তা বাতিল হয়েছে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট, চার শতাংশ আগাম কর এবং পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়করসহ মোট ২৯ শতাংশ কর পরিশোধ করতে হবে। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিংয়ের জন্য এখন পর্যন্ত সরকার যত টাকার ড্রেজার মেশিন কিনেছে, তার চেয়েও অর্ধেক কিনেছে বেসরকারি খাত। প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ২০০টির মতো উন্নতমানের ড্রেজার রয়েছে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ কাটার সাকশন ড্রেজারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, অযৌক্তিক ও অন্যায়ভাবে এক শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৯ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ড্রেজিং ব্যবসা বিদেশিদের হাতে চলে যাবে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোর পূর্ণতা এবং নাব্যতা রক্ষার্থে নৌযান চলাচলের সুব্যবস্থা করার জন্য জাতীয় পর্যায়ে দেশের মৃতপ্রায় নদ-নদীর নবজাগরণের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে এই কার্যক্রমের অধীনে বাংলাদেশের অনেক নদ-নদী ও খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে। এই কার্যক্রমকে চলমান রাখার স্বার্থে নদী খনন যন্ত্র কাটার সাকশন ড্রেজারস প্রয়োজন। ড্রেজার ছাড়া নদ-নদী খনন সম্ভব নয়। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী দেশের সব নদী খননের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে। এতে ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, অতি ঝুঁকিপূর্ণ নদী ভাঙন চিহ্নিত এলাকায় পরবর্তী বছর বন্যা মোকাবিলার জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নৌ চলাচল সহজ করার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর