শিরোনাম
শনিবার, ২০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা রোগী লাখ ছাড়াল

জনসচেতনতা নিশ্চিত করতে হবে

দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত ১ লাখ ছাড়াল অপেক্ষাকৃত দ্রুত সময়ে। সংক্রমণের ধারা, বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এমন দেশগুলোর অভিজ্ঞতা বলছে, বাংলাদেশে সংক্রমণ আরও তীব্র হতে যাচ্ছে। মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। দেশে প্রথম ২৫ হাজার রোগী শনাক্তে সময় লেগেছিল ৭৩ দিন। বাংলাদেশে সংক্রমণ শনাক্তের ১০৪তম দিনে এসে শুক্রবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৫-এ। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৮৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে বৈশ্বিক তালিকায় আরেক ধাপ ওপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী এখন বিশ্বের ১১৮টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে ৩০তম। করোনাভাইরাসের মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসছেই না। এক অঞ্চলে এর বিস্তার কমলে বাড়ছে অন্য অঞ্চলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা কম হচ্ছে। কিন্তু সংক্রমণ শনাক্তের হার বেশি। বিশ্ব পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতা বিচারে বিশ্বে এবং বাংলাদেশে আরও দু-তিন বছর করোনাভাইরাস থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর। বাংলাদেশ জনবহুল ও অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অন্যদিকে করোনাও অত্যন্ত ছোঁয়াচে ভাইরাস। এ কারণে অসতর্ক চলাফেরা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চলায় সংক্রমণ ও আক্রান্তের হার বেশি। সংক্রমণের হার মোকাবিলা করা কঠিন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ রাখলে কর্মহীনতা, রোজগারের পথ বন্ধ হওয়া এবং অন্যান্য সামাজিক অর্থনৈতিক কারণেও ব্যাপক অপুষ্টি, রোগবালাই ও মৃত্যু ঘটতে পারে। আর করোনা কেবল স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, ধর্ম, বাণিজ্য সবকিছুকে ঘিরে। তাই কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জোরালো নজর দেবেন এবং জনসচেতনতা বাড়াবেন- এমনটিই কাম্য।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর